اهاولاء الذين اقسمتم لا ينالهم الله برحمة ادخلوا الجنة لا خوف عليكم ولا انتم تحزنون ٤٩
أَهَـٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لَا يَنَالُهُمُ ٱللَّهُ بِرَحْمَةٍ ۚ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ ٤٩
اَهٰۤؤُلَآءِ
الَّذِیْنَ
اَقْسَمْتُمْ
لَا
یَنَالُهُمُ
اللّٰهُ
بِرَحْمَةٍ ؕ
اُدْخُلُوا
الْجَنَّةَ
لَا
خَوْفٌ
عَلَیْكُمْ
وَلَاۤ
اَنْتُمْ
تَحْزَنُوْنَ
۟

(দেখ,) এদেরই সম্বন্ধে কি তোমরা শপথ করে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না? (এদেরকেই বলা হবে,) তোমরা বেহেশ্তে প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।’[১]

[১] এ থেকে এমন ঈমানদারদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা দুনিয়ায় নিঃস্ব-দরিদ্র এবং নিম্নশ্রেণীর লোক ছিল। উক্ত অহংকারীরা এদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করত ও বলত যে, 'যদি এরা আল্লাহর প্রিয় হত, তাহলে দুনিয়াতে কি এদের এ অবস্থা হত?' অতঃপর আরো অধিক ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে বলত যে, 'কিয়ামতের দিনেও আল্লাহর রহমত আমাদের উপরেই হবে (যেভাবে দুনিয়াতে হচ্ছে); তাদের উপর হবে না।' কেউ কেউ এ কথার বক্তা আ'রাফবাসীদেরকে গণ্য করেছেন। আর কেউ কেউ বলেছেন, যখন আ'রাফবাসীরা জাহান্নামীদেরকে বলবে, "তোমাদের দলবল ও অহংকার তোমাদের কোন উপকারে আসল না।" তখন আল্লাহর পক্ষ হতে জান্নাতীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হবে যে, "এরা হল তারাই, যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম খেয়ে বলতে যে, এদের উপর আল্লাহর রহম-দয়া হবে না।" (তাফসীর ইবনে কাসীর)