وله الحمد في السماوات والارض وعشيا وحين تظهرون ١٨
وَلَهُ ٱلْحَمْدُ فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَعَشِيًّۭا وَحِينَ تُظْهِرُونَ ١٨
وَلَهُ
الْحَمْدُ
فِی
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ
وَعَشِیًّا
وَّحِیْنَ
تُظْهِرُوْنَ
۟

এবং বিকালে ও দুপুরে। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সকল প্রশংসা তাঁরই।[১]

[১] এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিজ পবিত্র সত্তার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা। যার উদ্দেশ্য হল নিজ বান্দাকে পথ প্রদর্শন যে, উক্ত সময়গুলিতে, যা একের পর এক আসতে থাকে এবং যা আল্লাহর পরিপূর্ণ ক্ষমতা ও মহত্ত্ব বুঝায়, তাঁর পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা কর। সন্ধ্যা ও সকাল হল রাতের অন্ধকার ও দিনের আলোর প্রারম্ভ। এশা খুব অন্ধকার এবং যোহর খুব উজ্জ্বলতার সময় হয়ে থাকে। অতএব ঐ সত্তা অতি পবিত্র যিনি উক্ত সকল বস্তুর সৃষ্টিকর্তা এবং যিনি সেই বিভিন্ন সময়ের মধ্যে আলাদা আলাদা উপকারিতা রেখেছেন। অনেকে বলেন, এখানে 'তাসবীহ'র অর্থ হল নামায। উক্ত দুটি আয়াতে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা হল, পাঁচ অক্ত নামাযের সময়। تُمسُون (সন্ধ্যা) শব্দে মাগরিব-এশা, تُصبِحُون (ভোর) শব্দে ফজর عَشِيًا (বিকাল) শব্দে আসর এবং تُظهِرون (দুপুর) শব্দে যোহর নামাযের সময় উল্লেখ হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর) উক্ত আয়াত দুটি সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার ফযীলত একটি যয়ীফ (দুর্বল) হাদীসে বর্ণনা হয়েছে। আর তা হল এই যে, উক্ত আয়াত দুটি পড়লে দিবা-রাত্রির ছুটে যাওয়া আমল পূরণ হয়ে যায়। (যয়ীফ আবু দাঊদ ১০৮১নং)