ام يقولون افتراه بل هو الحق من ربك لتنذر قوما ما اتاهم من نذير من قبلك لعلهم يهتدون ٣
أَمْ يَقُولُونَ ٱفْتَرَىٰهُ ۚ بَلْ هُوَ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ لِتُنذِرَ قَوْمًۭا مَّآ أَتَىٰهُم مِّن نَّذِيرٍۢ مِّن قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ ٣
اَمْ
یَقُوْلُوْنَ
افْتَرٰىهُ ۚ
بَلْ
هُوَ
الْحَقُّ
مِنْ
رَّبِّكَ
لِتُنْذِرَ
قَوْمًا
مَّاۤ
اَتٰىهُمْ
مِّنْ
نَّذِیْرٍ
مِّنْ
قَبْلِكَ
لَعَلَّهُمْ
یَهْتَدُوْنَ
۟

তবে কি ওরা বলে, এ তো তার নিজের রচনা?[১] বরং এ তোমার প্রতিপালক হতে আগত সত্য; যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার, যাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি।[২] হয়তো ওরা সৎপথে চলবে।

[১] এটা ধমক ও তিরস্কার স্বরূপ বলা হয়েছে যে, সৃষ্টি জগতের পালনকর্তার অবতীর্ণকৃত সাহিত্য-অলঙ্কারপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ওরা বলে, তা মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজেই রচনা করেছে?!

[২] এটা কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্য। এখান হতে বুঝা যায় যে, (যেমন পূর্বে আলোচনা হয়েছে) আরবদের নিকট তিনি প্রথম নবী ছিলেন, অনেকে শুআইব (আঃ)-কেও আরবদের নিকট প্রেরিত নবী বলেছেন। এই মর্মে আল্লাহই ভাল জানেন। এই হিসাবে 'সম্প্রদায়' বলে কুরাইশ সম্প্রদায় ধরা হবে, যাদের নিকট মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পূর্বে কোন নবী আসেননি।