واذ اخذنا ميثاقكم ورفعنا فوقكم الطور خذوا ما اتيناكم بقوة واسمعوا قالوا سمعنا وعصينا واشربوا في قلوبهم العجل بكفرهم قل بيسما يامركم به ايمانكم ان كنتم مومنين ٩٣
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَـٰكُم بِقُوَّةٍۢ وَٱسْمَعُوا۟ ۖ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُوا۟ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ ۚ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُم بِهِۦٓ إِيمَـٰنُكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ٩٣
وَاِذْ
اَخَذْنَا
مِیْثَاقَكُمْ
وَرَفَعْنَا
فَوْقَكُمُ
الطُّوْرَ ؕ
خُذُوْا
مَاۤ
اٰتَیْنٰكُمْ
بِقُوَّةٍ
وَّاسْمَعُوْا ؕ
قَالُوْا
سَمِعْنَا
وَعَصَیْنَا ۗ
وَاُشْرِبُوْا
فِیْ
قُلُوْبِهِمُ
الْعِجْلَ
بِكُفْرِهِمْ ؕ
قُلْ
بِئْسَمَا
یَاْمُرُكُمْ
بِهٖۤ
اِیْمَانُكُمْ
اِنْ
كُنْتُمْ
مُّؤْمِنِیْنَ
۟

আরো স্মরণ কর (সেই সময়ের কথা) যখন আমি তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম, এবং ত্বূর (পাহাড়)কে তোমাদের ঊর্ধে স্থাপন করেছিলাম (ও বলেছিলাম,) ‘যা দিলাম তা দৃঢ়রূপে গ্রহণ কর এবং শ্রবণ কর।’ তারা বলেছিল, ‘আমরা শ্রবণ করলাম ও অমান্য করলাম।’[১] তাদের কুফরী (অবিশ্বাস)[২] হেতু তাদের হৃদয়কে (যেন) গো-বৎস-প্রীতি পান করানো হয়েছিল।[৩] বল, ‘যদি তোমরা মুমিন (বিশ্বাসী) হও, তবে তোমাদের ঈমান (বিশ্বাস) যার নির্দেশ দেয় তা কত নিকৃষ্ট!’\r\n

[১] এ হল শেষ পর্যায়ের কুফরী ও অস্বীকার যে, মৌখিকভাবে তো তারা মেনে নিল, 'আমরা শ্রবণ করলাম' অর্থাৎ, আনুগত্য করব, কিন্তু অন্তরে এই নিয়ত লুক্কায়িত যে, আমাদেরকে কোন্ কাজ করতে হবে?

[২] অর্থাৎ, অবাধ্যতা এবং বাছুরের ভালবাসা ও পূজার কারণে তা কুফরী ছিল, যা তাদের হৃদয়ে স্থান লাভ করে নিয়েছিল।

[৩] একে তো প্রীতি-ভক্তি এমন এক জিনিস, যা মানুষকে অন্ধ ও বধির বানিয়ে দেয়। তাতে আবার সে প্রীতি (রস) তাদের হৃদয়কে {أُشْرِبُوْا} 'পান করানো হয়েছিল' বলে অভিব্যক্ত করা হয়েছে। কেননা, পানি মানুষের শিরা-উপশিরায় যেভাবে দ্রুত চলাচল করে আহারাদি সেভাবে করে না। (ফাতহুল ক্বাদীর) (এ থেকে তাদের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।)