যখনই তোমরা স্ত্রীদের (রজয়ী) তালাক দাও এবং তারা ‘ইদ্দত’ (নির্দিষ্ট সময়) পূর্ণ করে, তখন তাদেরকে বিধিমতে বহাল কর অথবা সদ্ভাবে বিদায় দাও।[১] তাদের প্রতি নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটক করে রেখো না। যে ব্যক্তি এমন করে, সে নিজের ক্ষতি করে এবং তোমরা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে ঠাট্টা-তামাশার বস্তু করো না।[২] তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ ও কিতাব এবং বিজ্ঞান যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন ও যা দিয়ে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, তা স্মরণ কর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে জ্ঞানময়।
[১] ((الطلاق مرتان)) এ বলা হয়েছিল যে, দু'বার তালাক পর্যন্ত ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার থাকে। এই আয়াতে বলা হচ্ছে যে, ফিরিয়ে নেওয়া ইদ্দতের মধ্যে হতে পারে। ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর নয়। অতএব এখানে একই কথার পুনরাবৃত্তি হয়নি, যেমন বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হয়।
[২] কেউ কেউ ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দিয়ে অথবা বিবাহ করে কিংবা ক্রীতদাস স্বাধীন করে দিয়ে বলে যে, আমি তো ঠাট্টা করেছিলাম। মহান আল্লাহ এটাকে তাঁর আয়াতের সাথে ঠাট্টা বলে গণ্য করেছেন। এ থেকে উদ্দেশ্য হল, এ রকম কার্যকলাপ থেকে মানুষকে বিরত রাখা। এই জন্য নবী করীম (সাঃ) বলেছেন যে, ঠাট্টাচ্ছলেও কেউ যদি উল্লিখিত কাজগুলো করে বসে, তাহলে তা বাস্তবই গণ্য হবে এবং ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দিলে অথবা বিবাহ করলে বা স্বাধীন করলে তা কার্যকরী হয়ে যাবে। (ইবনে কাসীর)