এবং (সেই সময়কে স্মরণ কর,) যখন কাবাগৃহকে মানবজাতির সম্মিলনক্ষেত্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম[১] (এবং বলেছিলাম), তোমরা মাকবামে ইব্রাহীম (ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গা)কেই নামাযের জায়গারূপে গ্রহণ কর। [২] আর আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী ও রুকূ-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখবে।
[১] বায়তুল্লার প্রথম নির্মাতা ইবরাহীম (আঃ)-এর মাধ্যমে এখানে তার (বায়তুল্লার) দু'টি বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করেছেন।
(ক) {مَثَابَةً لِلنَّاسِ}(পুণ্যক্ষেত্র) বা বারবার ফিরে আসার জায়গা (সম্মিলনক্ষেত্র)। যে একবার বায়তুল্লার যিয়ারতে ধন্য হয়, আরো একাধিকবার আসার জন্য তার মন ব্যাকুল থাকে। এটা এমন স্পৃহা যা কখনও মিটে না, বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পায়।
(খ) 'নিরাপত্তাস্থল' অর্থাৎ, এখানে কোন শত্রু-ভয়ও থাকে না। তাই জাহেলিয়াতের যুগেও মানুষ হারাম সীমানায় কোন প্রাণের দুশমনেরও প্রতিশোধ গ্রহণ করত না। ইসলাম তার এই মর্যাদা ও পবিত্রতাকে কেবল অবশিষ্টই রাখল না, বরং তার আরো তাকীদ ও প্রসার করল।
[২] 'মাক্বামে ইবরাহীম'বলতে সেই পাথর যার উপর দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আঃ) কা'বা শরীফ নির্মাণ করেছিলেন। এই পাথরের উপরে তাঁর পায়ের চিহ্ন আছে। বর্তমানে এই পাথরকে কাঁচ দিয়ে ঘিরে সুরক্ষিত করে দেওয়া হয়েছে। তাওয়াফের সময় প্রত্যেক হজ্জ ও উমরা আদায়কারী সহজেই এটাকে দেখতে পারে। তাওয়াফ সমাপ্ত করে এর পশ্চাতে দু'রাকআত নামায পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلّىً}