فانطلقا حتى اذا اتيا اهل قرية استطعما اهلها فابوا ان يضيفوهما فوجدا فيها جدارا يريد ان ينقض فاقامه قال لو شيت لاتخذت عليه اجرا ٧٧
فَٱنطَلَقَا حَتَّىٰٓ إِذَآ أَتَيَآ أَهْلَ قَرْيَةٍ ٱسْتَطْعَمَآ أَهْلَهَا فَأَبَوْا۟ أَن يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًۭا يُرِيدُ أَن يَنقَضَّ فَأَقَامَهُۥ ۖ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًۭا ٧٧
فَانْطَلَقَا ۥ
حَتّٰۤی
اِذَاۤ
اَتَیَاۤ
اَهْلَ
قَرْیَةِ
سْتَطْعَمَاۤ
اَهْلَهَا
فَاَبَوْا
اَنْ
یُّضَیِّفُوْهُمَا
فَوَجَدَا
فِیْهَا
جِدَارًا
یُّرِیْدُ
اَنْ
یَّنْقَضَّ
فَاَقَامَهٗ ؕ
قَالَ
لَوْ
شِئْتَ
لَتَّخَذْتَ
عَلَیْهِ
اَجْرًا
۟

অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল; চলতে চলতে তারা এক জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে খাদ্য চাইল; কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল।[১] অতঃপর সেখানে তারা এক পতনোন্মুখ প্রাচীর দেখতে পেল এবং সে ওটাকে সোজা খাড়া করে দিল। [২] মূসা বলল, ‘আপনি তো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।’ [৩]

[১] এই গ্রামটি ছিল কৃপণ ও হীন লোকদের যারা অতিথিদের আপ্যায়ন করতে অস্বীকার করল। অথচ মুসাফিরদেরকে খাদ্য দান করা এবং অতিথিদের আতিথেয়তা করা প্রত্যেক ধর্মের সৎচরিত্রতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে পরিচিত। মহানবী (সাঃ)ও মেহমানদের আপ্যায়ন করা ও তাদের সম্মান করা ঈমানের দাবী বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন নিজ মেহমানদের সম্মান করে।" (বুখারী, মুসলিম)

[২] খাযির (আঃ) দেওয়ালটাতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলেন আর আল্লাহর আদেশে অলৌকিকভাবে তা সোজা হয়ে গেল। যেমন সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এ কথা স্পষ্ট হয়।

[৩] মূসা (আঃ) যিনি প্রথম থেকেই গ্রামের মানুষের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন, তিনি খাযির (আঃ)-এর বিনা পারিশ্রমিকে কাজটি করে দেওয়ায় চুপ থাকতে পারলেন না; বরং বলে ফেললেন যে, যারা আমাদের মুসাফিরী অবস্থা, আহারের প্রয়োজনীয়তা, মান-সম্মান প্রভৃতি কিছুরই খেয়াল রাখল না তারা অনুগ্রহ পাওয়ার যোগ্য হয় কি করে?