والسارق والسارقة فاقطعوا ايديهما جزاء بما كسبا نكالا من الله والله عزيز حكيم ٣٨
وَٱلسَّارِقُ وَٱلسَّارِقَةُ فَٱقْطَعُوٓا۟ أَيْدِيَهُمَا جَزَآءًۢ بِمَا كَسَبَا نَكَـٰلًۭا مِّنَ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌۭ ٣٨
وَالسَّارِقُ
وَالسَّارِقَةُ
فَاقْطَعُوْۤا
اَیْدِیَهُمَا
جَزَآءً
بِمَا
كَسَبَا
نَكَالًا
مِّنَ
اللّٰهِ ؕ
وَاللّٰهُ
عَزِیْزٌ
حَكِیْمٌ
۟

চোর এবং চোরনীর হাত কেটে ফেলো,[১] এ তাদের কৃতকর্মের ফল এবং আল্লাহর তরফ হতে শাস্তি। বস্তুতঃ আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

[১] কতক যাহেরিয়া মযহাবের ফিকহবিদদের অভিমত এই যে, চুরির এই বিধান সকল প্রকার চুরির জন্য ব্যাপক; চাহে তা অল্পই হোক, আর বেশীই হোক এবং সুরক্ষিত জায়গা থেকে চুরি করা হোক অথবা অরক্ষিত জায়গা থেকে চুরি করা হোক, সর্বাবস্থাতেই চোরের হাত কাটা যাবে। অথচ অন্যান্য ফিকহবিদদের অভিমত এই যে, তা সুরক্ষিত জায়গা থেকে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের মাল চুরির শর্ত আছে। পরন্তু সেই নির্দিষ্ট পরিমাণের ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। মুহাদ্দিসগণের অভিমত এই যে, এক চতুর্থাংশ স্বর্ণমুদ্রা (দীনার) অথবা তিনটি রৌপ্যমুদ্রা (দিরহাম) অথবা ঐ পরিমাণ মূল্যের কোন জিনিস চুরি করলে চোরের হাত কাটা যাবে; অন্যথা এর থেকে কম পরিমাণ হলে হাত কাটা যাবে না। অনুরূপভাবে হাত কবজি পর্যন্ত কাটা হবে; কনুই বা কাঁধ পর্যন্ত নয়, যেমন অনেকের অভিমত। (বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন হাদীস, ফিকহ ও তফসীর গ্রন্থ দ্রষ্টব্য।)