فاستجاب لهم ربهم اني لا اضيع عمل عامل منكم من ذكر او انثى بعضكم من بعض فالذين هاجروا واخرجوا من ديارهم واوذوا في سبيلي وقاتلوا وقتلوا لاكفرن عنهم سيياتهم ولادخلنهم جنات تجري من تحتها الانهار ثوابا من عند الله والله عنده حسن الثواب ١٩٥
فَٱسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّى لَآ أُضِيعُ عَمَلَ عَـٰمِلٍۢ مِّنكُم مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ ۖ بَعْضُكُم مِّنۢ بَعْضٍۢ ۖ فَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَأُخْرِجُوا۟ مِن دِيَـٰرِهِمْ وَأُوذُوا۟ فِى سَبِيلِى وَقَـٰتَلُوا۟ وَقُتِلُوا۟ لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ ثَوَابًۭا مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسْنُ ٱلثَّوَابِ ١٩٥
فَاسْتَجَابَ
لَهُمْ
رَبُّهُمْ
اَنِّیْ
لَاۤ
اُضِیْعُ
عَمَلَ
عَامِلٍ
مِّنْكُمْ
مِّنْ
ذَكَرٍ
اَوْ
اُ ۚ
بَعْضُكُمْ
مِّنْ
بَعْضٍ ۚ
فَالَّذِیْنَ
هَاجَرُوْا
وَاُخْرِجُوْا
مِنْ
دِیَارِهِمْ
وَاُوْذُوْا
فِیْ
سَبِیْلِیْ
وَقٰتَلُوْا
وَقُتِلُوْا
لَاُكَفِّرَنَّ
عَنْهُمْ
سَیِّاٰتِهِمْ
وَلَاُدْخِلَنَّهُمْ
جَنّٰتٍ
تَجْرِیْ
مِنْ
تَحْتِهَا
الْاَنْهٰرُ ۚ
ثَوَابًا
مِّنْ
عِنْدِ
اللّٰهِ ؕ
وَاللّٰهُ
عِنْدَهٗ
حُسْنُ
الثَّوَابِ
۟

অতঃপর তাদের প্রতিপালক তাদের ডাকে সাড়া[১] দিলেন (এবং বললেন), আমি তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠ নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না;[২] তোমরা পরস্পর সমশ্রেণীভুক্ত। [৩] সুতরাং যারা হিজরত (ধর্মের জন্য স্বদেশত্যাগ) করেছে, নিজ নিজ গৃহ থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে, আমি তাদের মন্দ কাজগুলি অবশ্যই গোপন করব, আর অবশ্যই তাদেরকে বেহেশ্তে প্রবেশ করাব; যার নিচে নদীসমূহ প্রবাহিত। এ হল আল্লাহর দেওয়া পুরস্কার, বস্তুতঃ আল্লাহর নিকটই উত্তম পুরস্কার রয়েছে।

[১] فَاسْتَجَابَ এখানে أَجَابَ অর্থাৎ, তিনি তাদের দু'আ কবুল করলেন বা তাদের ডাকে সাড়া দিলেন --এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[২] 'নর অথবা নারী' কথাটি এখানে এই জন্য বলা হয়েছে যে, ইসলাম কোন কোন বিষয়ে নর ও নারীর মধ্যে তাদের উভয়ের প্রাকৃতিক গুণাবলীর ভিন্নতার কারণে কিছু পার্থক্য করেছে, যেমন, কর্তৃত্বে ও নেতৃত্বে, জীবিকা উপার্জনের দায়িত্বে এবং জিহাদে অংশ গ্রহণ ও অর্ধেক মীরাস পাওয়ার ব্যাপারে। তাই এই পার্থক্যগুলো দেখে যেন এই মনে করে না নেওয়া হয় যে, নেক কাজের প্রতিদানেও পুরুষ ও মহিলার মধ্যে পার্থক্য করা হবে। না, এ রকম হবে না। বরং প্রত্যেক নেকীর যে প্রতিদান একজন পুরুষ পাবে, সেই নেকী যদি কোন মহিলা করে, তাহলে সেও অনুরূপ প্রতিদান পাবে।

[৩] এটা جملة معترضة অর্থাৎ, বাক্যের মধ্যে ব্যাকরণগত সম্পর্কহীন একটি প্রবিষ্ট বাক্য। এই বাক্যের উদ্দেশ্য হল পূর্বোক্ত বিষয়কে আরো পরিষ্কার করে বর্ণনা করা। অর্থাৎ, নেকী ও আনুগত্যে তোমরা পুরুষ ও মহিলা সমান। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! মহান আল্লাহ হিজরত করার ব্যাপারে মহিলাদের নাম নেননি। তাঁর এ কথার ভিত্তিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীরে ত্বাবারী, ইবনে কাসীর ও ফাতহুল ক্বাদীর)