وهم يصطرخون فيها ربنا اخرجنا نعمل صالحا غير الذي كنا نعمل اولم نعمركم ما يتذكر فيه من تذكر وجاءكم النذير فذوقوا فما للظالمين من نصير ٣٧
وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَـٰلِحًا غَيْرَ ٱلَّذِى كُنَّا نَعْمَلُ ۚ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ ٱلنَّذِيرُ ۖ فَذُوقُوا۟ فَمَا لِلظَّـٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٍ ٣٧
وَهُمْ
یَصْطَرِخُوْنَ
فِیْهَا ۚ
رَبَّنَاۤ
اَخْرِجْنَا
نَعْمَلْ
صَالِحًا
غَیْرَ
الَّذِیْ
كُنَّا
نَعْمَلُ ؕ
اَوَلَمْ
نُعَمِّرْكُمْ
مَّا
یَتَذَكَّرُ
فِیْهِ
مَنْ
تَذَكَّرَ
وَجَآءَكُمُ
النَّذِیْرُ ؕ
فَذُوْقُوْا
فَمَا
لِلظّٰلِمِیْنَ
مِنْ
نَّصِیْرٍ
۟۠

সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে (এখান হতে) বের কর, আমরা সৎকাজ করব; পূর্বে যা করতাম তা করব না।’[১] আল্লাহ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এত আয়ু দান করিনি যে, তখন কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে চাইলে উপদেশ গ্রহণ করতে পারত?[২] তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল।[৩] সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; সীমালংঘনকারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।’

[১] অর্থাৎ অন্যদেরকে ছেড়ে একমাত্র তোমার ইবাদত এবং অবাধ্যতা ছেড়ে আনুগত্য করব।

[২] এই আয়ুর পরিমাণ কত? মুফাসসিরীনগণ বিভিন্ন রকমের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ কিছু হাদীস থেকে দলীল নিয়ে বলেছেন যে, এর পরিমাণ হল ষাট বছর। (ইবনে কাসীর) কিন্তু আমাদের মতে আয়ু নির্ধারিত করা ঠিক হবে না। কারণ তা বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সুতরাং কেউ যুবক অবস্থায়, কেউ বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বাবস্থায় আবার কেউ বৃদ্ধাবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। তারপরেও এই সময় অতি অল্প সময় নয়; বরং এর মাঝের বেশ লম্বা সময় থাকে। যেমন যুবকাবস্থা সাবালক হওয়ার পর থেকে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এবং বৃদ্ধ হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত এবং বৃদ্ধাবস্থা মৃত্যু পর্যন্ত থাকে । চিন্তা-ভাবনা, উপদেশ গ্রহণ ইত্যাদির জন্য কেউ কয়েক বছর কেউ অনেক বছর এবং কেউ তার থেকেও বেশি সময় পেয়ে থাকে এবং সকলকে এই প্রশ্ন করা সঠিক হবে যে, আমি তোমাকে এত পরিমাণ আয়ু দিয়েছিলাম যে, যদি তুমি সত্যকে বুঝতে চাইতে, তাহলে বুঝতে পারতে। তারপরেও তুমি সত্যকে বুঝতে ও তা গ্রহণ করতে চেষ্টা করনি কেন?

[৩] এখানে 'সতর্ককারী' বলে নবী (সাঃ)-এর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, স্মরণ করিয়ে দেওয়া ও উপদেশ দেওয়ার জন্য পয়গম্বর (সাঃ) এবং তাঁর মিম্বর ও মেহরাবের উত্তরাধিকারী (নায়েব) আলেমগণ ও দ্বীনী দাওয়াত দাতাগণ তোমাদের নিকট এসেছিল, কিন্তু তোমরা না আপন জ্ঞান দ্বারা কাজ নিয়েছিলে, আর না সত্যের আহবানকারীদের কথার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করেছিলে।