فكلوا مما ذكر اسم الله عليه ان كنتم باياته مومنين ١١٨
فَكُلُوا۟ مِمَّا ذُكِرَ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ إِن كُنتُم بِـَٔايَـٰتِهِۦ مُؤْمِنِينَ ١١٨
فَكُلُوْا
مِمَّا
ذُكِرَ
اسْمُ
اللّٰهِ
عَلَیْهِ
اِنْ
كُنْتُمْ
بِاٰیٰتِهٖ
مُؤْمِنِیْنَ
۟

তোমরা যদি তাঁর আয়াতসমূহে বিশ্বাসী হও, তাহলে যার যবেহকালে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে, তা ভক্ষণ কর।[১]

[১] অর্থাৎ, যে পশুকে শিকার অথবা যবেহ বা নহর করার সময় আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তা খাও; যদি তা এমন পশু হয় যা খাওয়া বৈধ। এর অর্থ হল, যে পশুকে শিকার অথবা যবেহ বা নহর করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় না, তা হালাল ও বৈধ নয়। তবে যবেহ করার সময় যবেহকারী আল্লাহর নাম নিয়েছে, না নেয়নি --এই সন্দেহজনক ব্যাপারটা এ থেকে স্বতন্ত্র। এ ব্যাপারে বিধান হল, আল্লাহর নাম নিয়ে তা খাও। হাদীসে আছে কিছু লোক রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, একদল লোক আমাদের কাছে গোশত নিয়ে আসে (এ থেকে বুঝানো হয়েছে এমন মরুবাসীদেরকে, যারা নতুন নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং সম্পূর্ণরূপে ইসলামী জ্ঞান লাভ করতে পারে নি।) আমরা জানি না যে, তারা (যবেহকালে) আল্লাহর নাম নিয়েছে, না নেয়নি? তখন তিনি বললেন, سَمُّوْا عَلَيْهِ أَنْتُمْ وَكُلُوْا )) অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তা খাও। (বুখারী) অর্থাৎ, সন্দেহজনক অবস্থায় এর অনুমতি আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সর্বপ্রকার পশুর গোশত 'বিসমিল্লাহ' পড়ে নিলেই হালাল হয়ে যাবে। এ থেকে ঊর্ধ্বপক্ষে কেবল এতটাই প্রমাণিত হয় যে, মুসলিমদের বাজার ও দোকানে যে গোশত পাওয়া যায়, তা হালাল। হ্যাঁ, যদি কেউ উক্ত সন্দেহ ও দ্বিধায় পতিত হয়, তবে সে খাওয়ার সময় 'বিসমিল্লাহ' পড়ে নেবে।