وقالوا يا ايه الساحر ادع لنا ربك بما عهد عندك اننا لمهتدون ٤٩
وَقَالُوا۟ يَـٰٓأَيُّهَ ٱلسَّاحِرُ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ ٤٩
وَقَالُوْا
یٰۤاَیُّهَ
السّٰحِرُ
ادْعُ
لَنَا
رَبَّكَ
بِمَا
عَهِدَ
عِنْدَكَ ۚ
اِنَّنَا
لَمُهْتَدُوْنَ
۟

ওরা বলেছিল, ‘হে যাদুকর![১] তোমার প্রতিপালক[২] তোমার প্রতি যে অঙ্গীকার করেছেন[৩] তুমি তাঁর নিকট আমাদের জন্য তা প্রার্থনা কর; (অঙ্গীকার পূর্ণ করলে) আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব।’ [৪]

[১] বলা হয় যে, সে যুগে যাদু কোন নিন্দনীয় জিনিস ছিল না। বড় জ্ঞানীদেরকে সম্মানার্থে 'যাদুকর' বলে সম্বোধন করা হত। এ ছাড়া সমস্ত মু'জিযা এবং নিদর্শনের ব্যাপারে তাদের ধারণা ছিল যে, এ সব হল মূসা (আঃ)-এর যাদুর ভেলকি। তাই তারা তাঁকে 'যাদুকর' বলে সম্বোধন করল।

[২] "তোমার প্রতিপালক" এ কথা তারা তাদের শিরকীয় ধারণার ভিত্তিতে বলেছিল। কারণ, মুশরিকদের বিভিন্ন প্রতিপালক ও উপাস্য হত। অর্থাৎ, ওহে মূসা! তোমার প্রতিপালক দ্বারা এ কাজ করিয়ে নাও!

[৩] অর্থাৎ, আমরা ঈমান আনলে আযাব প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার।

[৪] যদি এ আযাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তবে আমরা তোমাকে সত্য রসূল বলে মেনে নেব এবং তোমার প্রতিপালকেরই ইবাদত করব। কিন্তু প্রত্যেকবার তারা নিজেদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত। যেমন, পরের আয়াতে এসেছে এবং সূরা আ'রাফেও এ কথা উল্লিখিত হয়েছে।