وزخرفا وان كل ذالك لما متاع الحياة الدنيا والاخرة عند ربك للمتقين ٣٥
وَزُخْرُفًۭا ۚ وَإِن كُلُّ ذَٰلِكَ لَمَّا مَتَـٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۚ وَٱلْـَٔاخِرَةُ عِندَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِينَ ٣٥
وَزُخْرُفًا ؕ
وَاِنْ
كُلُّ
ذٰلِكَ
لَمَّا
مَتَاعُ
الْحَیٰوةِ
الدُّنْیَا ؕ
وَالْاٰخِرَةُ
عِنْدَ
رَبِّكَ
لِلْمُتَّقِیْنَ
۟۠

এবং স্বর্ণালংকার।[১] কিন্তু এ সব তো পার্থিব জীবনের ভোগসম্ভার। আর সাবধানীদের জন্য তোমার প্রতিপালকের নিকট রয়েছে পরকাল। [২]

[১] অর্থাৎ, কিছু জিনিস রূপার ও কিছু জিনিস সোনার। কেননা, রকমারি হলে আরো বেশী সুন্দর দেখায়। উদ্দেশ্য হল, দুনিয়ার ধন-মাল আমার দৃষ্টিতে এত তুচ্ছ যে, যদি উল্লিখিত আশঙ্কা না থাকত, তবে আল্লাহর সকল অস্বীকারকারীকে প্রচুর ধন-দৌলত দেওয়া হত। কিন্তু এতে বিপদ এই ছিল যে, সকল মানুষ দুনিয়ার পূজারী হয়ে যেত। দুনিয়া যে অতি তুচ্ছ তা এই হাদীস দ্বারাও পরিষ্কার হয়ে যায়। বলা হয়েছে, "যদি আল্লাহর কাছে দুনিয়ার মূল্য একটি মশার ডানার সমানও হত, তবে মহান আল্লাহ কোন কাফেরকে এই দুনিয়া থেকে এক আঁচলা পানিও পান করতে দিতেন না।" (তিরমিযী, ইবনে মাজাহঃ যুহ্দ অধ্যায়)

[২] যারা শিরক ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্য করে, তাদের জন্য হল আখেরাত এবং জান্নাতের এমন সব নিয়ামত, যা ধ্বংসশীল ও শেষ হওয়ার নয়।