এবং কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে, তাও সে দেখতে পাবে।[১]
[১] ফলে সে তার উপর অত্যন্ত লজ্জিত ও উদ্বিগ্ন হবে। 'যার্রাহ' কোন কোন উলামার নিকট পিঁপড়ে হতেও ছোট বস্তুকে বোঝায়। কেউ কেউ বলেন, মানুষ মাটিতে হাত মেরে তারপর হাতে যে মাটি অবশিষ্ট থাকে, সেটাকেই 'যার্রাহ' বলা হয়। কিছু সংখ্যক আলেম বলেন, ঘরের দরজা বা জানালার ছিদ্র দিয়ে সূর্যের ছটার সাথে যে ধূলিকণা দেখা যায়, সেটাই হল যার্রাহ। কিন্তু ইমাম শাওকানী (রঃ) প্রথম অর্থটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (বস্তুর সবচেয়ে ছোট অংশ বুঝাতে বাংলায় 'যার্রাহ'কে 'অণু পরিমাণ' বলা হয়েছে। -সম্পাদক)ইমাম মুক্বাতিল (রঃ) বলেন, এই সূরাটি সেই দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, যাদের একজন ভিখারীকে অল্প কিছু সদকা করতে ইতস্ততঃবোধ করত। আর অপরজন ছোট ছোট পাপ করতে কোন প্রকার ভয় অনুভব করত না। (ফাতহুল ক্বাদীর)