الا الذين امنوا وعملوا الصالحات وذكروا الله كثيرا وانتصروا من بعد ما ظلموا وسيعلم الذين ظلموا اي منقلب ينقلبون ٢٢٧
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ وَذَكَرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًۭا وَٱنتَصَرُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا۟ ۗ وَسَيَعْلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ أَىَّ مُنقَلَبٍۢ يَنقَلِبُونَ ٢٢٧
اِلَّا
الَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا
وَعَمِلُوا
الصّٰلِحٰتِ
وَذَكَرُوا
اللّٰهَ
كَثِیْرًا
وَّانْتَصَرُوْا
مِنْ
بَعْدِ
مَا
ظُلِمُوْا ؕ
وَسَیَعْلَمُ
الَّذِیْنَ
ظَلَمُوْۤا
اَیَّ
مُنْقَلَبٍ
یَّنْقَلِبُوْنَ
۟۠

তবে তারা নয়, যারা বিশ্বাস করে[১] ও সৎকাজ করে, আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করে এবং অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে।[২] আর অত্যাচারীরা অচিরেই জানতে পারবে, তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়? [৩]

[১] এখানে ঐসব কবিদেরকে পৃথক করা হচ্ছে, যাদের কবিতা সত্য ও বাস্তবের ভিত্তিতে রচিত। আর এমন শব্দ দ্বারা ব্যতিক্রান্ত করা হয়েছে; যাতে স্পষ্ট হয় যে, ঈমানদার, সৎকর্মশীল, বেশী বেশী আল্লাহর যিকরকারী কবি মিথ্যা ও অতিশয়োক্তিমিশ্রিত অন্যায় (শরীয়ত-বিরোধী) কবিতা রচনা করতে পারে না। এ সব কবিতা রচনা করা তাদের কাজ, যারা ঈমানী গুণাবলী হতে খালি।

[২] অর্থাৎ, এই ধরনের মু'মিন কবি, কাফের কবিদের সেই কবিতার জবাব দেয়, যাতে তারা (কাফের কবিরা) মুসলিমদের সমালোচনা ও নিন্দা করে থাকে। যেমন কবি হাসসান বিন সাবেত (রাঃ) কাফেরদের সমালোচনার জবাব দিতেন। আর নবী (সাঃ) নিজেও বলতেন, তুমি ব্যঙ্গ কবিতার মাধ্যমে কাফেরদের সমালোচনা কর জিবরীল (আঃ) তোমার সঙ্গে রয়েছেন। (বুখারীঃ সৃষ্টি রচনা অধ্যায় ফিরিশতাদের যিকর পরিচ্ছেদ, মুসলিমঃ সাহাবাদের ফযীলত অধ্যায় হাসসান বিন সাবেতের ফযীলত পরিচ্ছেদ) এখান হতে বুঝা গেল যে, এ রকম কবিতা রচনা করা বৈধ যাতে মিথ্যা ও অতিশোয়ক্তির মিশ্রণ নেই, যার দ্বারা মুশরিক, কাফের, বিদআতী ও বাতিলপন্থী লোকদের উচিত জবাব দেওয়া হবে এবং যা সত্য পথ তাওহীদ ও সুন্নতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।

[৩] 'তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?' অর্থাৎ, জাহান্নাম। এখানে পাপীদের জন্য রয়েছে কঠিন সতর্কবাণী। যেমন হাদীসের মধ্যেও বলা হয়েছে। অত্যাচার করা হতে দূরে থাকো! কারণ অত্যাচার কিয়ামত দিবসে অন্ধকারের কারণ হবে। (মুসলিমঃ নেকী অধ্যায়, অত্যাচার হারাম পরিচ্ছেদ)