وما اتيتم من ربا ليربو في اموال الناس فلا يربو عند الله وما اتيتم من زكاة تريدون وجه الله فاولايك هم المضعفون ٣٩
وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن رِّبًۭا لِّيَرْبُوَا۟ فِىٓ أَمْوَٰلِ ٱلنَّاسِ فَلَا يَرْبُوا۟ عِندَ ٱللَّهِ ۖ وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن زَكَوٰةٍۢ تُرِيدُونَ وَجْهَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُضْعِفُونَ ٣٩
وَمَاۤ
اٰتَیْتُمْ
مِّنْ
رِّبًا
لِّیَرْبُوَاۡ
فِیْۤ
اَمْوَالِ
النَّاسِ
فَلَا
یَرْبُوْا
عِنْدَ
اللّٰهِ ۚ
وَمَاۤ
اٰتَیْتُمْ
مِّنْ
زَكٰوةٍ
تُرِیْدُوْنَ
وَجْهَ
اللّٰهِ
فَاُولٰٓىِٕكَ
هُمُ
الْمُضْعِفُوْنَ
۟

লোকের ধন বৃদ্ধি পাবে এ উদ্দেশ্যে তোমরা যে সূদ দিয়ে থাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা বৃদ্ধি হয় না;[১] কিন্তু তোমরা আল্লাহর মুখমন্ডল (দর্শন বা সন্তুষ্টি) লাভের জন্য যে যাকাত দিয়ে থাক, তাই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে; সুতরাং ওরাই সমৃদ্ধিশালী।[২]

[১] অর্থাৎ, সূদ বাহ্য দৃষ্টিতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও প্রচুর মনে হয়, আসলে কিন্তু তা নয়। বরং তার অভিশাপ ইহ-পরকালে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইবনে আব্বাস এবং আরো অনেক সাহাবা (রাঃ) ও তাবেঈনগণের নিকট এই আয়াতে বর্ণিত 'রিবা' শব্দটির অর্থ সূদ নয়; বরং তা হল ঐ সকল উপহার-উপঢৌকন যা কোন গরীব ব্যক্তি ধনী ব্যক্তিকে অথবা কোন প্রজা রাজাকে এবং কোন চাকর তার প্রভুকে এই নিয়তে পেশ করে থাকে যে, এর পরিবর্তে সে তার থেকে বেশি পাবে। দেওয়ার সময় বেশি পাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে তাই তাকে 'রিবা' (সূদ) বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও এই রকম করাটা বৈধ কর্ম, তবুও আল্লাহর নিকট এর কোন সওয়াব নেই। فَلاَ يَربُوا عِندَ الله (আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি হয় না) দ্বারা আখেরাতে সওয়াব দেওয়া হবে না বুঝানো হয়েছে। এই ব্যাখ্যায় আয়াতের অর্থ হবেঃ 'যে উপঢৌকন তোমরা অধিক পাওয়ার আশায় দিয়ে থাক, আল্লাহর নিকট তার কোন সওয়াব নেই।' (ইবনে কাসীর,আইসারুত তাফাসীর)

[২] যাকাত ও দান-খয়রাতে প্রথমতঃ দাতার ধনে এক প্রকার আধ্যাত্মিক ও নিগূঢ় বৃদ্ধি লাভ হয়, অর্থাৎ অবশিষ্ট ধন-সম্পদে আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত দেওয়া হয়। দ্বিতীয়তঃ কিয়ামতের দিন তার সওয়াব ও নেকী বহুগুণ পাওয়া যাবে। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, "হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর সমতুল্য দান বৃদ্ধি হয়ে উহুদ পর্বত ন্যায় হয়ে যায়।" (সহীহ মুসলিম, কিতাবুয যাকাত)