তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তা একত্রিত করেন এবং পরে পুঞ্জীভূত করেন। অতঃপর তুমি দেখতে পাও, তা থেকে নির্গত হয় বারিধারা; আকাশের শিলাস্তুপ হতে তিনি বর্ষণ করেন শিলা[১] এবং এ দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার উপর হতে তা অন্য দিকে ফিরিয়ে দেন।[২] মেঘের বিদ্যুৎ-ঝলক যেন দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নিতে চায়।[৩]
[১] এর একটি অর্থ এই যা অনুবাদে প্রকাশ হয়েছে। তা হল, আসমানে শিলার পাহাড় আছে; যেখান থেকে তিনি শিলা বর্ষণ করেন। (ইবনে কাসীর) দ্বিতীয় অর্থ হল سماء অর্থ উঁচু। আর جبال অর্থ হল পাহাড়ের সমতুল্য বড় বড় টুকরো। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ আসমান হতে কেবল বৃষ্টিই বর্ষণ করেন না, বরং উঁচু থেকে যখন চান বড় বড় বরফের টুকরোও বর্ষণ করেন। (ফাতহুল কাদীর) কিম্বা পাহাড় সদৃশ বিশাল বিশাল মেঘখন্ড হতে শিলা বর্ষণ করেন।
[২] অর্থাৎ যাদের প্রতি ইচ্ছা রহমত সরূপ তাদের উপর শিলা ও বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আবার যাদেরকে ইচ্ছা তাদেরকে তা হতে বঞ্চিত রাখেন। অথবা এর অর্থ এই যে, যাদেরকে ইচ্ছা শিলাবৃষ্টির আযাবে পতিত করেন। যার কারণে খেতের ফসলাদি সব নষ্ট হয়ে যায়। আর যা উপর রহমত করেন তাকে উক্ত আযাব হতে বাচিয়ে নেন।
[৩] অর্থাৎ, মেঘের বিদ্যুৎ-ঝলক যাতে সাধারনতঃ বৃষ্টির সুখবর দিয়ে থাকে, তাতে এমন তীব্র জ্যোতি থাকে যে, মনে হয় তা যেন দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিবে। এটিও তার আজব কারিগরির একটি নমুনা।