তওরাত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ইস্রাঈল নিজের জন্য যা অবৈধ করেছিল, তা ব্যতীত বনী ইস্রাঈলের জন্য যাবতীয় খাদ্যই বৈধ ছিল। বল, ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তওরাত আন এবং তা পাঠ কর।’[১]
[১] এই আয়াত এবং পরের দু'টি আয়াত ইয়াহুদীদের অভিযোগের খন্ডনে অবতীর্ণ হয়। তারা নবী করীম (সাঃ)-কে বলল যে, তুমি নিজেকে ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বীনের অনুসারী বলে দাবী কর এবং তুমি উটের গোশত খাও; অথচ ইবরাহীমের দ্বীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল। মহান আল্লাহ বললেন, ইয়াহুদীদের এ অভিযোগ ভুল ও ভিত্তিহীন। কারণ, ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে হ্যাঁ কোন কোন জিনিস ইসরাঈল (ইয়াকুব) (আঃ) নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন। আর তা ছিল এই উটের গোশত এবং তার দুধ। (তার কারণ ছিল মানত অথবা রোগ)। আর ইয়াকুব (আঃ)-এর এ কাজও ছিল তাওরাত নাযিল হওয়ার পূর্বেকার। কারণ, তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়াকুব (আলাইহিমাস্ সালাম)-এর অনেক পরে নাযিল হয়। অতএব কিভাবে তোমরা উক্ত অভিযোগ উত্থাপন কর? তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে কেবল তোমাদের যুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (সূরা আনআম ৬:৪৬, সূরা নিসা ৪:১৬০) যদি তোমাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে তাওরাত নিয়ে এসো এবং তা পড়ে শুনাও, দেখবে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, ইবরাহীম (আঃ)-এর যামানায় এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না এবং তোমাদের উপর যা কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তা কেবল তোমাদের যুলুম ও সীমালঙ্ঘনের কারণে। অর্থাৎ, শাস্তি স্বরূপ তা হারাম করা হয়েছিল। (আয়সারুত তাফাসীর)