وقالت امرات فرعون قرت عين لي ولك لا تقتلوه عسى ان ينفعنا او نتخذه ولدا وهم لا يشعرون ٩
وَقَالَتِ ٱمْرَأَتُ فِرْعَوْنَ قُرَّتُ عَيْنٍۢ لِّى وَلَكَ ۖ لَا تَقْتُلُوهُ عَسَىٰٓ أَن يَنفَعَنَآ أَوْ نَتَّخِذَهُۥ وَلَدًۭا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ ٩
وَقَالَتِ
امْرَاَتُ
فِرْعَوْنَ
قُرَّتُ
عَیْنٍ
لِّیْ
وَلَكَ ؕ
لَا
تَقْتُلُوْهُ ۖۗ
عَسٰۤی
اَنْ
یَّنْفَعَنَاۤ
اَوْ
نَتَّخِذَهٗ
وَلَدًا
وَّهُمْ
لَا
یَشْعُرُوْنَ
۟

ফিরআউনের স্ত্রী বলল, ‘এ শিশু আমার এবং তোমার নয়ন-প্রীতিকর। তোমরা একে হত্যা করো না।[১] সম্ভবতঃ সে আমাদের উপকারে আসবে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসাবে গ্রহণ করব।’[২] প্রকৃতপক্ষে ওরা এর পরিণাম বুঝতে পারেনি। [৩]

[১] এ কথাটি তখন বলেছিল, যখন কাঠের বাক্সের ভিতর সুন্দর শিশু (মূসা)-কে দেখেছিল। আবার কারো নিকট এটি ঐ সময়ের কথা, যখন মূসা (আঃ) (শৈশবে) ফিরআউনের দাড়ি ধরে টান দিয়েছিলেন। ফলে ফিরআউন তাঁকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিল। (আইসারুত তাফাসীর) "তোমরা একে হত্যা করো না" বহুবচন শব্দ ফিরআউন একা হলেও তার সম্মানার্থে ব্যবহার হয়েছে অথবা সেখানে কিছু তার পরিষদের লোকও থেকে থাকতে পারে, যার জন্য বহুবচন ব্যবহূত হয়েছে।

[২] কারণ ফিরআউন সন্তান হতে বঞ্চিত ছিল।

[৩] যে, এ সেই শিশু যাকে আজ সে নিজ সন্তান হিসাবে গ্রহণ করেছে। যাকে মারার জন্য হাজার হাজার শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।