فان لم يستجيبوا لك فاعلم انما يتبعون اهواءهم ومن اضل ممن اتبع هواه بغير هدى من الله ان الله لا يهدي القوم الظالمين ٥٠
فَإِن لَّمْ يَسْتَجِيبُوا۟ لَكَ فَٱعْلَمْ أَنَّمَا يَتَّبِعُونَ أَهْوَآءَهُمْ ۚ وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنِ ٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ بِغَيْرِ هُدًۭى مِّنَ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٥٠
فَاِنْ
لَّمْ
یَسْتَجِیْبُوْا
لَكَ
فَاعْلَمْ
اَنَّمَا
یَتَّبِعُوْنَ
اَهْوَآءَهُمْ ؕ
وَمَنْ
اَضَلُّ
مِمَّنِ
اتَّبَعَ
هَوٰىهُ
بِغَیْرِ
هُدًی
مِّنَ
اللّٰهِ ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
لَا
یَهْدِی
الْقَوْمَ
الظّٰلِمِیْنَ
۟۠

অতঃপর ওরা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়,[১] তাহলে জানবে ওরা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে। আল্লাহর পথনির্দেশ অমান্য করে যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে তার অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে?[২] নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। [৩]

[১] অর্থাৎ, কুরআন ও তাওরাতের চেয়ে বেশি হিদায়াতদানকারী কোন গ্রন্থ তারা পেশ করতে না পারে -- আর নিঃসন্দেহে তারা পারবেও না -- তাহলে জানবে---।

[২] আল্লাহ প্রদত্ত হিদায়াতকে ছেড়ে দিয়ে নিজের প্রবৃত্তির পূজা করা সব থেকে বড় ভ্রষ্টতা। আর এই দিক দিয়ে মক্কার কুরাইশরা সব চেয়ে বড় বিভ্রান্ত। কারণ, ওরা এই পথেরই পথিক।

[৩] এখানে আল্লাহর সেই নিয়মের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা অত্যাচারীদের জন্য তাঁর কাছে নির্ধারিত আছে; আর তা এই যে, তারা হিদায়াত থেকে বঞ্চিত থাকে। কারণ, নবীদেরকে মিথ্যা ভাবা, আল্লাহর আয়াতসমূহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং নিরন্তর কুফরী ও বিদ্বেষ এমন অপরাধ, যাতে সত্য গ্রহণের যোগ্যতা ও তার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়। এরপর মানুষ যুলুম, পাপ, কুফর ও শিরকের অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে থাকে। ঈমানের আলো তার ভাগ্যে আর জোটে না।