অতঃপর ওরা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়,[১] তাহলে জানবে ওরা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে। আল্লাহর পথনির্দেশ অমান্য করে যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে তার অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে?[২] নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। [৩]
[১] অর্থাৎ, কুরআন ও তাওরাতের চেয়ে বেশি হিদায়াতদানকারী কোন গ্রন্থ তারা পেশ করতে না পারে -- আর নিঃসন্দেহে তারা পারবেও না -- তাহলে জানবে---।
[২] আল্লাহ প্রদত্ত হিদায়াতকে ছেড়ে দিয়ে নিজের প্রবৃত্তির পূজা করা সব থেকে বড় ভ্রষ্টতা। আর এই দিক দিয়ে মক্কার কুরাইশরা সব চেয়ে বড় বিভ্রান্ত। কারণ, ওরা এই পথেরই পথিক।
[৩] এখানে আল্লাহর সেই নিয়মের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা অত্যাচারীদের জন্য তাঁর কাছে নির্ধারিত আছে; আর তা এই যে, তারা হিদায়াত থেকে বঞ্চিত থাকে। কারণ, নবীদেরকে মিথ্যা ভাবা, আল্লাহর আয়াতসমূহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং নিরন্তর কুফরী ও বিদ্বেষ এমন অপরাধ, যাতে সত্য গ্রহণের যোগ্যতা ও তার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়। এরপর মানুষ যুলুম, পাপ, কুফর ও শিরকের অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে থাকে। ঈমানের আলো তার ভাগ্যে আর জোটে না।