নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি।[১] অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
[১] অর্থাৎ, এর অর্থ ও তাৎপর্য উপলব্ধি করা, এ থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করা এবং তা মুখস্থ করা আমি সহজ করে দিয়েছি। অতএব, এটা বাস্তব যে, কুরআন কারীম অলৌকিকতা ও ভাষাশৈলীর দিক দিয়ে অতি উচ্চস্তরের কিতাব হওয়া সত্ত্বেও কোন আরবের মানুষ তার প্রতি একটু মনোযোগ ও গুরুত্ব দিলে ব্যাকরণ, অভিধান ও সাহিত্যের কোন বই-পুস্তক না পড়েই তা অনায়াসে বুঝে নেয়। অনুরূপ এটি পৃথিবীর এমন অনন্য গ্রন্থ যার প্রতিটি শব্দ (অর্থ না জেনেও) হুবহু মুখস্থ করে নেওয়া যায়। এ ছাড়া কোন ক্ষুদ্র পুস্তকও এইভাবে মুখস্থ করা ও রাখা অতি কঠিন হয়। মানুষ যদি তার অন্তর ও বিবেকের দুয়ার উন্মুক্ত রেখে কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের দৃষ্টিতে পড়ে, নসীহতের কানে শোনে এবং উপলব্ধিকারী অন্তর দিয়ে এ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে, তবে দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্যের দরজাসমূহ তার জন্য খুলে যায় এবং কুরআন তার অন্তরের গভীরে প্রবেশ করে কুফরী ও পাপাচরণের সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করে দেয়।
০%