قل يا اهل الكتاب لستم على شيء حتى تقيموا التوراة والانجيل وما انزل اليكم من ربكم وليزيدن كثيرا منهم ما انزل اليك من ربك طغيانا وكفرا فلا تاس على القوم الكافرين ٦٨
قُلْ يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لَسْتُمْ عَلَىٰ شَىْءٍ حَتَّىٰ تُقِيمُوا۟ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ ۗ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًۭا مِّنْهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَـٰنًۭا وَكُفْرًۭا ۖ فَلَا تَأْسَ عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٦٨
قُلْ
یٰۤاَهْلَ
الْكِتٰبِ
لَسْتُمْ
عَلٰی
شَیْءٍ
حَتّٰی
تُقِیْمُوا
التَّوْرٰىةَ
وَالْاِنْجِیْلَ
وَمَاۤ
اُنْزِلَ
اِلَیْكُمْ
مِّنْ
رَّبِّكُمْ ؕ
وَلَیَزِیْدَنَّ
كَثِیْرًا
مِّنْهُمْ
مَّاۤ
اُنْزِلَ
اِلَیْكَ
مِنْ
رَّبِّكَ
طُغْیَانًا
وَّكُفْرًا ۚ
فَلَا
تَاْسَ
عَلَی
الْقَوْمِ
الْكٰفِرِیْنَ
۟

বল, ‘হে ঐশীগ্রন্থধারিগণ! তওরাত, ইঞ্জীল ও যা তোমার প্রতিপলাকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, তোমরা তা প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত তোমাদের কোন ভিত্তি নেই।’ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা তাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বৃদ্ধি করবে।[১] সুতরাং তুমি অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করো না।

[১] এই হিদায়াত ও ভ্রষ্টতা সেই নিয়ম মোতাবেক হয়ে থাকে যা আল্লাহর ব্যাপক নিয়ম। অর্থাৎ, যেমন কিছু জিনিস ও কর্মের ফলে ঈমানদারদের ঈমান, সত্যায়ন, নেক আমল ও উপকারী ইলম বৃদ্ধি পায়, অনুরূপ পাপ এবং তার উপর অটল থাকার ফলে কুফরী ও অবাধ্যতা বৃদ্ধি পায়। আর এই বিষয়টিকেই মহান আল্লাহ কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছেন, যেমন {قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاء وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى أُوْلٰئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ} অর্থাৎ, (হে নবী) বল, বিশ্বাসীদের জন্য এ পথনির্দেশক ও ব্যাধির প্রতিকার। কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং কুরআন হবে এদের জন্য অন্ধকারস্বরূপ। এরা এমন যে, যেন এদেরকে বহু দূর হতে আহবান করা হয়। (সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১:৪৪) তিনি অন্যত্র বলেন, {وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا} অর্থাৎ, আমি কুরআন অবতীর্ণ করি, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও দয়া; কিন্তু তা যালেমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৮২)