নিশ্চয় আল্লাহ বনী-ইস্রাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন[১] এবং তাদের মধ্য হতে বারো জন নেতা নিযুক্ত করেছিলেন[২] আর বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, তোমরা যদি নামায পড়, যাকাত দাও, আর আমার রসূলগণকে বিশ্বাস কর ও তাদেরকে সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান কর, তাহলে তোমাদের পাপরাশি অবশ্যই মোচন করব এবং নিশ্চয় তোমাদেরকে বেহেশ্তে প্রবেশাধিকার দান করব; যার পাদদেশে নদীমালা প্রবাহিত। এর পরও তোমাদের মধ্যে যে অবিশ্বাস করবে সে সরল পথ হারাবে।’
[১] যখন আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদেরকে ঐ অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেন, যা তিনি তাঁর রসূল (সাঃ)-এর মারফৎ গ্রহণ করেছেন। আর তাদেরকে হক প্রতিষ্ঠা ও ন্যায্য সাক্ষী প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং তাঁদেরকে তাঁর ঐ সকল পুরস্কার ও অনুগ্রহের কথা স্মরণ করালেন, যা তাঁদের জীবনে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যভাবে প্রকাশ পেয়েছে; বিশেষ করে এই অনুগ্রহ যে, তিনি তাঁদেরকে সত্য ও সঠিক পথে চলার তওফীক দান করেছেন। তখন এই স্থানে ঐ অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা ইতিপূর্বে বানী ইস্রাঈলের নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং যা পূরণ করতে তারা অকৃতকার্য প্রমাণিত হয়েছিল। এ যেন পরোক্ষভাবে মুসলিমদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, তোমরা যেন বানী ইস্রাঈলের ন্যায় অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ শুরু করে না দাও।
[২] এটি ঐ সময়কার ঘটনা, যখন মূসা (আঃ) দুর্দান্ত জাতি আমালেকাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তিনি নিজ জাতির বারটি গোত্রের জন্য একজন করে দলপতি নির্বাচন করেন। যাতে তারা তাদের স্বগোত্রের লোকদেরকে যুদ্ধের জন্য পূর্ণরূপে প্রস্ত্তত করে, তাদের নেতৃত্ব ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করে এবং তাদের অন্যান্য ব্যাপারেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অগ্রণীর ভূমিকা গ্রহণ করে।