وَاِذْ
قَالَ
مُوْسٰی
لِفَتٰىهُ
لَاۤ
اَبْرَحُ
حَتّٰۤی
اَبْلُغَ
مَجْمَعَ
الْبَحْرَیْنِ
اَوْ
اَمْضِیَ
حُقُبًا
۟

(স্মরণ কর,) যখন মূসা তার সঙ্গীকে[১] বলেছিল, ‘দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে[২] না পৌঁছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।’ [৩]

[১] এই যুবক ছিল ইউশা' বিন নূন (আঃ) যিনি মূসা (আঃ)-এর মৃত্যুর পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

[২] কোন নিশ্চিত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ স্থানকে নির্দিষ্ট করা যায়নি। তবে অনুমান ও লক্ষণাদির দাবী অনুযায়ী এটা হল সিনাই মরুভূমির দক্ষিণ মাথায়, যেখানে উকবাহ উপসাগর ও সুইজ উপসাগর এক সাথে একত্রিত হয়ে লোহিত সাগরে মিশে গেছে। অন্যান্য যেসব স্থানের কথা মুফাসসিরগণ উল্লেখ করেছেন তাতে مجمع البحرين (দুই সাগরের মিলনস্থল) এর যে ব্যাখ্যা হয়, তার সাথে মোটেই খাপ খায় না।

[৩] حُقُبٌ এর একটি অর্থ, ৭০ অথবা ৮০ বছর। দ্বিতীয় অর্থ, অনির্দিষ্ট সময়-কাল। এই দ্বিতীয় অর্থই এখানে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যতক্ষণ না আমি مجمع البحرين (দুই সাগরের মিলনস্থল) পর্যন্ত পৌঁছব, ততক্ষণ পর্যন্ত চলতেই থাকব এবং সফর অব্যাহত রাখব। তাতে যতদিন লাগে লাগবে। মূসা (আঃ)-এর এই সফরের প্রয়োজন এই জন্য দেখা দিয়েছিল যে, তিনি একজন প্রশ্নকারীর উত্তরে বলেছিলেন, বর্তমানে আমার থেকে বড় জ্ঞানী আর কেউ নেই। তাঁর এই (গর্ব) কথা মহান আল্লাহর পছন্দ হল না। সুতরাং অহীর মাধ্যমে তাঁকে অবগত করলেন যে, আমার এক বান্দা (খায্বির) তোমার থেকেও বড় জ্ঞানী। মূসা (আঃ) জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহ! তাঁর সাথে সাক্ষাৎ কিভাবে হতে পারে? মহান আল্লাহ বললেন, যেখানে উভয় সাগর এক সাথে মিশে গেছে, সেখানেই আমার সেই বান্দা থাকবে। অনুরূপ এ কথাও বললেন যে, সাথে করে একটি মাছ নিও। যখন এ মাছ তোমার থলি থেকে বেরিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে, তখন বুঝে নিও যে, এটাই তোমার গন্তব্যস্থল। (বুখারী, সূরা কাহ্ফ) এই নির্দেশ অনুযায়ী তিনি একটি মাছ নিয়ে যাত্রা আরম্ভ করে দিলেন।

আপনার Quran.com অভিজ্ঞতা সর্বাধিক করুন!
এখনই আপনার সফর শুরু করুন:

%