عسى ربكم ان يرحمكم وان عدتم عدنا وجعلنا جهنم للكافرين حصيرا ٨
عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَن يَرْحَمَكُمْ ۚ وَإِنْ عُدتُّمْ عُدْنَا ۘ وَجَعَلْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَـٰفِرِينَ حَصِيرًا ٨
عَسٰی
رَبُّكُمْ
اَنْ
یَّرْحَمَكُمْ ۚ
وَاِنْ
عُدْتُّمْ
عُدْنَا ۘ
وَجَعَلْنَا
جَهَنَّمَ
لِلْكٰفِرِیْنَ
حَصِیْرًا
۟

সম্ভবতঃ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন; কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের পূর্ব আচরণের পুনরাবৃত্তি কর; তবে আমিও (আমার শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব।[১] আর জাহান্নামকে আমি করেছি সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য কারাগার।[২]

[১] এখানে তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন করে নাও, তাহলে আল্লাহর রহমতের অধিকারী হবে। যার অর্থ হল, দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করবে। আর যদি পুনরায় আল্লাহর অবাধ্যতার পথ অবলম্বন করে যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করায় লিপ্ত হও, তাহলে আমি আবারও তোমাদেরকে লাঞ্ছনা ও অবমাননাগ্রস্ত করব; যেমন ইতিপূর্বে দুইবার আমি তোমাদের সাথে এই ধরনের আচরণ করেছি। আর হলও তা-ই। এই ইয়াহুদীরা নিজেদের মন্দ আচরণ থেকে ফিরে আসেনি। তারা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুঅতের ব্যাপারে সেই আচরণই প্রদর্শন করে, যে আচরণ প্রদর্শন করেছিল মূসা (আঃ) এবং ঈসা (আঃ)-এর নবুঅতের ব্যাপারে। যার ফলস্বরূপ তৃতীয়বার মুসলিমদের হাতে তাদেরকে অপদস্থ ও অপমানিত হতে হয় এবং অত্যধিক লাঞ্ছনার সাথে তাদেরকে মদীনা ও খায়বার থেকে নির্বাসিত হতে হয়।

[২] অর্থাৎ, দুনিয়ার এই লাঞ্ছনার পর জাহান্নামে আরো পৃথক শাস্তি রয়েছে, যা সেখানে তারা ভোগ করবে।