নিশ্চয় যারা তোমার বায়আত গ্রহণ করে, তারা তো আল্লাহরই বায়আত গ্রহণ করে।[১] আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর।[২] সুতরাং যে তা ভঙ্গ করে, তা ভঙ্গ করার পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে[৩] এবং যে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার পূর্ণ করে,[৪] তিনি তাকে মহা পুরস্কার দেন।
[১] এই আয়াতে ঐ বায়আতে রিযওয়ানের কথাই বুঝানো হয়েছে, যে বায়আত নবী করীম (সাঃ) উসমান (রাঃ)-এর শহীদ হওয়ার খবর শুনে তাঁর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হুদাইবিয়ায় উপস্থিত ১৪ বা ১৫ শত মুসলিমদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন।
[২] অর্থাৎ, এই বাইয়াত (শপথ) প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই। কেননা, তিনিই জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর প্রতিদানও তিনিই দেবেন। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, এরা নিজেদের জান ও মালের পরিবর্তে আল্লাহর নিকট জান্নাত ক্রয় করেছে। (সূরা তাওবাহ ৯:১১১) আর এটা ঠিক এই ধরনের যেমন, {مَن يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَ} অর্থাৎ, যে রসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। (সূরা নিসা ৪:৮০)
[৩] نَكْثٌ (অঙ্গীকার ভঙ্গ করা) থেকে এখানে বাইয়াত ভঙ্গ করা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, শপথ অনুযায়ী যুদ্ধে শরীক না হওয়া। মানে যে ব্যক্তি এ রকম করবে, তার মন্দ পরিণাম তারই উপর আসবে।
[৪] অর্থাৎ, যে আল্লাহর রসূলকে সাহায্য করে। তাঁর সাথে মিলে সেই পর্যন্ত যুদ্ধ করে, যে পর্যন্ত না মহান আল্লাহ মুসলিমদের বিজয় ও সাফল্য দান করেন।