فازلهما الشيطان عنها فاخرجهما مما كانا فيه وقلنا اهبطوا بعضكم لبعض عدو ولكم في الارض مستقر ومتاع الى حين ٣٦
فَأَزَلَّهُمَا ٱلشَّيْطَـٰنُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ ۖ وَقُلْنَا ٱهْبِطُوا۟ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّۭ ۖ وَلَكُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّۭ وَمَتَـٰعٌ إِلَىٰ حِينٍۢ ٣٦
فَاَزَلَّهُمَا
الشَّیْطٰنُ
عَنْهَا
فَاَخْرَجَهُمَا
مِمَّا
كَانَا
فِیْهِ ۪
وَقُلْنَا
اهْبِطُوْا
بَعْضُكُمْ
لِبَعْضٍ
عَدُوٌّ ۚ
وَلَكُمْ
فِی
الْاَرْضِ
مُسْتَقَرٌّ
وَّمَتَاعٌ
اِلٰی
حِیْنٍ
۟

কিন্তু শয়তান তা হতে তাদের পদস্খলন ঘটাল এবং তারা যেখানে ছিল সেখান হতে তাদেরকে বহিষ্কার করল। (১) আমি বললাম, ‘তোমরা (এখান হতে) নেমে যাও। তোমরা একে অন্যের শত্রু। (২) পৃথিবীতে কিছুকালের জন্য তোমাদের অবস্থান ও জীবিকা রইল।

(১) শয়তান জান্নাতে প্রবেশ ক'রে সরাসরি তাঁদেরকে পদস্খলিত করে, নাকি প্ররোচনার মাধ্যমে --এ ব্যাপারে কোন পরিষ্কার বর্ণনা নেই। তবে এ কথা পরিষ্কার যে, যেভাবে সিজদা করার নির্দেশের সময় আল্লাহর আদেশের মোকাবেলায় সে কিয়াস (আমি আদম থেকে উত্তম এই অনুমান) ক'রে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল, অনুরূপ এই সময় আল্লাহর নির্দেশ "তোমরা গাছের কাছে যাবে না"-এর তা'বীল (অপব্যাখ্যা) ক'রে আদম (আঃ)-কে চক্রান্তে ফাঁসাতে সে সফলকাম হয়। এর বিস্তারিত বিবরণ সূরা আ'রাফ ৭:১৯নং আয়াতে আসবে। আল্লাহর নির্দেশের মোকাবেলায় অনুমান এবং ক্বুরআন ও হাদীসের স্পষ্ট উক্তির অপব্যাখ্যা সর্বপ্রথম শয়তানই করেছিল। -নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক-।(২) অর্থাৎ, আদম (আলাইহিসসালাম) এবং শয়তান। অথবা এর অর্থ হল, আদম-সন্তান আপসে একে অপরের শত্রু।