তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তকে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম।[১] এতে তিনি তোমাদের কিছু কিছু পাপ মোচন করবেন, বস্তুতঃ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অবহিত।
[১] এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সাধারণ অবস্থায় গোপনে সাদাকা করাই উত্তম। তবে সাদাকা করার প্রতি মানুষকে উৎসাহ দানের প্রতি লক্ষ্য করে প্রকাশ্যেও তা করা যায়। আর এ ক্ষেত্রে যে সর্বাগ্রে অগ্রসর হবে তার যদি লোক দেখানো উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে সে যে বিশেষ ফযীলত লাভ করবে সে কথাও বহু হাদীস দ্বারা পরিষ্কারভাবে জানা যায়। এই ধরনের কিছু বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া অন্যান্য অবস্থায় চুপিসারে সাদাকা-খয়রাত করাই শ্রেয়। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, যারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়া লাভ করবে, তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর লোক হবে তারা, যারা এমন গোপনীয়তা রক্ষা করে দান করেছে যে, তাদের ডান হাত কি ব্যয় করেছে, তা বাম হাতও জানতে পারেনি। কোন কোন আলেমের নিকট গোপনে সাদাকা করার যে ফযীলত তা কেবল নফল সাদাকার মধ্যে সীমিত। তাঁদের মতে যাকাত আদায় প্রকাশ্যে করাই উত্তম। কিন্তু কুরআনের ব্যাপক নির্দেশ নফল ও ফরয উভয় সাদাকাকেই শামিল করে। (ইবনে কাসীর) অনুরূপ হাদীসের ব্যাপকার্থবোধক শব্দও এ কথার সমর্থন করে।