نِسَآؤُكُمْ
حَرْثٌ
لَّكُمْ ۪
فَاْتُوْا
حَرْثَكُمْ
اَنّٰی
شِئْتُمْ ؗ
وَقَدِّمُوْا
لِاَنْفُسِكُمْ ؕ
وَاتَّقُوا
اللّٰهَ
وَاعْلَمُوْۤا
اَنَّكُمْ
مُّلٰقُوْهُ ؕ
وَبَشِّرِ
الْمُؤْمِنِیْنَ
۟

তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র (স্বরূপ)। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে (যেদিক থেকে) ইচ্ছা গমন করতে পার।[১] তোমরা তোমাদের (মুক্তির জন্য) পূর্বেই পাথেয় প্রেরণ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর। আর জেনে রাখ যে, নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহর সম্মুখীন হবে এবং বিশ্বাসিগণকে সুসংবাদ দাও।

[১] ইয়াহুদীদের ধারণা ছিল যে, যদি মহিলাকে উপুড় করে পিছনের দিক থেকে তার সাথে সঙ্গম করা হয়, তাহলে (সেই সঙ্গমে সন্তান জন্ম নিলে) তার চক্ষু টেরা হয়। এই ধারণার খন্ডনে বলা হচ্ছে যে, সহবাস সামনের দিক থেকে কর অথবা পিছনের দিক থেকে কর, যেভাবে ইচ্ছা কর সবই বৈধ। তবে সর্বক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক হল নারীর যোনিপথ ব্যবহার করা। কেউ কেউ এ থেকে প্রমাণ করেন যে, 'যেভাবে ইচ্ছা' কথার মধ্যে মলদ্বারও এসে যায়। কাজেই স্ত্রীর মলদ্বার ব্যবহারও বৈধ। কিন্তু এটা একেবারে ভুল কথা। যখন কুরআন মহিলাকে শস্যক্ষেত (সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত) সাব্যস্ত করল, তখন এর পরিষ্কার অর্থ হল, কেবল ক্ষেতকে ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে যে, "নিজেদের শস্যক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর।" আর এই ক্ষেত (সন্তান জন্মের স্থান) কেবল যোনিপথ, মলদ্বার নয়। মোটকথা, পায়ুমৈথুন একটি রুচি ও প্রকৃতি-বিরোধী কাজ। (তা ছাড়া হাদীসে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, স্ত্রীর পায়খানাদ্বারে সঙ্গম করা এক প্রকার কুফরী এবং) যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বার ব্যবহার করে, সে অভিশপ্ত। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)