অংশীবাদী রমণী যে পর্যন্ত না (ইসলাম ধর্মে) বিশ্বাস করে তোমরা তাদেরকে বিবাহ করো না। [১] অংশীবাদী নারী তোমাদেরকে চমৎকৃত করলেও নিশ্চয় (ইসলাম ধর্মে) বিশ্বাসী ক্রীতদাসী তার থেকেও উত্তম। (ইসলাম ধর্মে) বিশ্বাস না করা পর্যন্ত অংশীবাদী পুরুষের সাথে (তোমাদের কন্যার) বিবাহ দিয়ো না। অংশীবাদী পুরুষ তোমাদেরকে চমৎকৃত করলেও (ইসলাম ধর্মে) বিশ্বাসী ক্রীতদাস তার থেকেও উত্তম। কারণ, ওরা তোমাদের আগুনের দিকে আহবান করে এবং আল্লাহ তোমাদেরকে স্বীয় ইচ্ছায় বেহেশত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। তিনি মানুষের জন্য স্বীয় নিদর্শনসমূহ সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।
[১] 'অংশীবাদী রমণী' বা মুশরিক নারী বলতে এখানে মূর্তিপূজক নারীদেরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা, আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান) নারীদের সাথে বিবাহ করার অনুমতি কুরআন দিয়েছে। অবশ্য কোন মুসলিম নারীর বিবাহ কোন আহলে কিতাব পুরুষের সাথে হতে পারে না। পরন্তু উমার (রাঃ) কোন সৎ উদ্দেশ্যেও ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান নারীদের সাথেও বিবাহ পছন্দ করতেন না। (ইবনে কাসীর) আলোচ্য আয়াতে মু'মিনদেরকে কেবল ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের পরস্পর বিবাহ দেওয়ার উপর তাকীদ করা হয়েছে এবং দ্বীনকে দৃষ্টিচ্যুত করে কেবল রূপ-সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বিবাহ করাকে আখেরাতের জন্য বরবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন যে, "চারটি জিনিসের ভিত্তিতে মহিলাদেরকে বিবাহ করা হয়; মাল, বংশ এবং সৌন্দর্য ও দ্বীনের ভিত্তিতে। তোমরা দ্বীনদার মহিলা নির্বাচন কর।" (বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬নং) অনুরূপ তিনি পুণ্যময়ী সৎশীলা মহিলাকে দুনিয়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ গণ্য করেছেন। তিনি বলেন, "সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল পুণ্যময়ী নারী।" (মুসলিম ১৪৬৭নং)
০%