তোমরা যাতে বিশ্বাস করেছ তারা যদি সেরূপ বিশ্বাস করে, তাহলে নিশ্চয় তারা সুপথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তারা নিশ্চয়ই বিরুদ্ধভাবাপন্ন। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। [১] তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
[১] সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণ (কুরআনে) উল্লিখিত এই নিয়মেই ঈমান এনেছিলেন। এই জন্যই তাঁদের দৃষ্টান্ত পেশ করে বলা হচ্ছে যে, তারা যদি ঐভাবেই ঈমান আনে, যেভাবে হে সাহাবাগণ! তোমরা ঈমান এনেছ, তাহলে অবশ্যই তারা হিদায়াত লাভ করবে। কিন্তু তারা যদি হঠকারিতা ও বিরোধিতার পথ অবলম্বন করে, তবে তাতে ঘাবড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই তাদের চক্রান্তসমূহ (হে নবী) তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ, তাদের জন্য তোমার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। বলা বাহুল্য, কয়েক বছরের মধ্যেই এই অঙ্গীকার বাস্তব রূপ পেল। বানু-ক্বায়নুক্বা' ও বানু-নাযীরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা এবং বানু-ক্বুরায়যাকে হত্যা করা হল। ইতিহাসের বর্ণনায় এসেছে যে, উসমান (রাঃ)-কে শহীদ করার সময় একটি কুরআন তাঁর কোলেই ছিল এবং তাতে লিখিত এই {فَسَيَكْفِيْكَهُمُ اللهُ} আয়াতে তাঁর রক্তের ছিটা পড়েছিল। বলা হয়, কুরআনের সে কপিটি আজও তুরস্কের যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।