তিনিই স্বীয় করুণার (বৃষ্টির) প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন।[১] শেষ পর্যন্ত উক্ত বাতাস যখন (পানি-ভরা) ভারী মেঘমালা বহন করে আনে,[২] তখন কোন নির্জীব ভূখন্ডের দিকে আমি তা প্রেরণ করি, অতঃপর তা থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি। তারপর তা দিয়ে সর্ববিধ ফলমূল উৎপাদন করি।[৩] এভাবেই আমি মৃতকে জীবিত করে থাকি। যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পার। [৪]
[১] স্বীয় উলূহিয়্যাত (উপাস্যত্ব) এবং রুবূবিয়্যাত (প্রতিপালকত্ব)এর প্রমাণে মহান আল্লাহ আরো দলীলাদি বর্ণনা করে তার মাধ্যমে তিনি আবারও মৃতদেরকে জীবিত করার কথা সুসাব্যস্ত করছেন। بُشْرًا হল بَشِيْرٌ-এর বহুবচন। আর এখানে رَحْمَةٌ বলতে مَطَرٌ (বৃষ্টি) বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বে (সুসংবাদবাহীরূপে) তিনি এমন শীতল হাওয়া প্রেরণ করেন, যা হয় বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বাভাস।
[২] ভারী মেঘমালা বলতে পানিতে পরিপূর্ণ মেঘ।
[৩] সর্ববিধ ফল, যেগুলোর রঙ, স্বাদ, সুগন্ধ এবং আকার-আকৃতি একে অন্য থেকে ভিন্ন।
[৪] যেভাবে আমি পানির মাধ্যমে মৃত যমীনের মধ্যে সজীবতা সৃষ্টি করি এবং সে (যমীন) বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ, ফসল ও ফল-মূল উৎপাদন করে, ঠিক এইভাবে কিয়ামতের দিন মৃত মানুষগুলোকে যারা মাটির সাথে মিশে মাটি হয়ে যাবে তাদেরকেও আমি পুনরায় জীবিত করব এবং তাদের হিসাব নেব।