অতঃপর আমি (তাদের) অকল্যাণকে কল্যাণ দ্বারা পরিবর্তিত করি, অবশেষে তারা প্রাচুর্যের অধিকারী হয় এবং বলে, ‘আমাদের পূর্বপুরুষগণও তো (অনুরূপ) সুখ-দুঃখ ভোগ করেছে।’ ফলে তাদেরকে আমি এমন অতর্কিতভাবে পাকড়াও করি যে, তারা টের পর্যন্ত পেল না।[১]
[১] যখন দুঃখ, কষ্ট ও দারিদ্র্য সত্ত্বেও তাদের মধ্যে আল্লাহর পথে ফিরে আসার কোন লক্ষণ দেখা গেল না, তখন আমি তাদের দারিদ্র্যকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ও অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করি। যাতে তারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা করে, কিন্তু এতেও তাদের মধ্যে কোন পরিবর্তন এল না আর তারা বলল, এটা তো সব সময় হয়ে আসছে কখনো সুখ কখনো দুঃখ, কখনো সুস্থতা আবার কখনোও অসুস্থতা, কখনো দরিদ্রতা আবার কখনো সচ্ছলতা। অর্থাৎ, না দারিদ্র্য তাদের মাঝে কোন প্রভাব আনতে পারল, আর না স্বাচ্ছন্দ্য তাদের অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটাল। বরং তারা এগুলিকে প্রাকৃতিক আবর্তনই মনে করল এবং এর পিছনে আল্লাহর ইচ্ছা ও তাঁর কুদরতের কার্যকারিতাকে বুঝতে অসক্ষম হল, তখন আমি তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করি। এ কারণেই হাদীসে মু'মিনদের অবস্থা এর বিপরীত বলা হয়েছে যে, তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আর দুঃখ-কষ্টে সবর করে। এভাবে উভয় অবস্থাই তাদের জন্য মঙ্গল ও নেকীর কারণ হয়। (মুসলিম)