হূদ বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি ও ক্রোধ[১] তো তোমাদের উপর নির্ধারিত হয়েই আছে, তবে কি তোমরা আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও এমন কতকগুলি নাম সম্বন্ধে,[২] যার নামকরণ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা করেছে এবং সে সম্বন্ধে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি? সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।’
[১] رِجْسٌ এর তো প্রকৃত অর্থ হয় নাপাকী-অপবিত্রতা। তবে এখানে এটা رِجْزٌ এর বিকৃত রূপ। যার অর্থ হল, শাস্তি। অথবা رِجْسٌ এখানে অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ অর্থে ব্যবহার হয়েছে। (ইবনে কাসীর)
[২] এ থেকে সেই নামগুলো বুঝানো হয়েছে, যেগুলো তারা তাদের উপাস্যদের জন্য রেখে নিয়েছিল। যেমন, স্বাদা, স্বুমূদ, হাবা ইত্যাদি। অনুরূপ নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের পাঁচটি মূর্তি ছিল এবং যাদের নাম আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন। (১৮৪নং টীকা দ্রঃ) এইভাবে আরবের মুশরিকদের মূর্তিদের নাম ছিল, লাত, মানাত, উয্যা, হুবাল ইত্যাদি। অথবা যেমন, বর্তমানে শিরকীয় আকীদা ও আমলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নাম রেখে নিয়েছে। যেমন, 'দাতা গাঞ্জ-বাখশ', 'খাজা গারীব নেওয়ায', 'বাবা ফারীদ শাকার গাঞ্জ', 'মুশকিল কুশা', গওসে আযম', 'দস্তগীর' ইত্যাদি; যাদের উপাস্য অথবা বিপদ দূরকারী অথবা সুখ-সমৃদ্ধি দানকারী হওয়ার কোনই দলীল তাদের কাছে নেই।