তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট এ উদ্দেশ্যে এসেছে যে, আমরা যেন শুধু আল্লাহর উপাসনা করি এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণ যার উপাসনা করত তা বর্জন করি?[১] সুতরাং তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যে (আযাবের) ভয় দেখাচ্ছ তা আনয়ন কর।’ [২]
[১] পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুকরণই হচ্ছে প্রত্যেক যুগে ভ্রষ্টতার মূল কারণ। আ'দ সম্প্রদায়ও এই দলীলের ভিত্তিতে শিরক ত্যাগ করে তাওহীদ তথা একত্বতার রাস্তা অবলম্বন করতে প্রস্তুত হয়নি। দুর্ভাগ্যবশতঃ (দাদুপন্থী) মুসলিমদের মাঝেও এই বড়দের অন্ধ অনুকরণের রোগ ব্যাপক।[২] যেভাবে মক্কার কুরাইশরাও রসূল (সাঃ)-এর একত্ববাদের দাওয়াতের উত্তরে বলেছিল, {اَللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا هُوَ الْحَقَّ مِنْ عِنْدِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِنَ السَّمَاءِ أَوِ ائْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ} "হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার পক্ষ হতে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব অবতীর্ণ কর।" (সূরা আনফাল ৮:৩২) অর্থাৎ, শিরক করতে করতে মুশরিকদের বিবেক-বুদ্ধিও লোপ পেয়ে যায়। অথচ জ্ঞান-বুদ্ধির দাবী এটাই ছিল যে, তারা বলত, 'হে আল্লাহ! যদি এটা সত্য হয় এবং তোমার পক্ষ থেকে আগত হয়, তবে তুমি আমাদেরকে তা গ্রহণ করার তাওফীক দান কর।' যাই হোক, আ'দ সম্প্রদায় তাদের নবী হূদ (আঃ)-কে বলে দিল, 'তুমি যদি সত্য হও, তবে তোমার আল্লাহকে বল, যে আযাবের তিনি ভয় দেখাচ্ছেন, সে আযাব যেন পাঠিয়ে দেন!'
০%