فدلاهما بغرور فلما ذاقا الشجرة بدت لهما سواتهما وطفقا يخصفان عليهما من ورق الجنة وناداهما ربهما الم انهكما عن تلكما الشجرة واقل لكما ان الشيطان لكما عدو مبين ٢٢
فَدَلَّىٰهُمَا بِغُرُورٍۢ ۚ فَلَمَّا ذَاقَا ٱلشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْءَٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ ٱلْجَنَّةِ ۖ وَنَادَىٰهُمَا رَبُّهُمَآ أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَن تِلْكُمَا ٱلشَّجَرَةِ وَأَقُل لَّكُمَآ إِنَّ ٱلشَّيْطَـٰنَ لَكُمَا عَدُوٌّۭ مُّبِينٌۭ ٢٢
فَدَلّٰىهُمَا
بِغُرُوْرٍ ۚ
فَلَمَّا
ذَاقَا
الشَّجَرَةَ
بَدَتْ
لَهُمَا
سَوْاٰتُهُمَا
وَطَفِقَا
یَخْصِفٰنِ
عَلَیْهِمَا
مِنْ
وَّرَقِ
الْجَنَّةِ ؕ
وَنَادٰىهُمَا
رَبُّهُمَاۤ
اَلَمْ
اَنْهَكُمَا
عَنْ
تِلْكُمَا
الشَّجَرَةِ
وَاَقُلْ
لَّكُمَاۤ
اِنَّ
الشَّیْطٰنَ
لَكُمَا
عَدُوٌّ
مُّبِیْنٌ
۟

এভাবে সে তাদেরকে ধোঁকা দিয়ে নিচে নামিয়ে দিল।[১] অতঃপর যখন তারা সেই বৃক্ষের আস্বাদ গ্রহণ করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা উদ্যানের পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল।[২] তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সম্বোধন করে বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ সম্বন্ধে সাবধান করিনি এবং শয়তান যে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তা আমি কি তোমাদেরকে বলিনি?’[৩]

[১] تَدْلِيَةٌ এবং إِدْلاَءٌ এর অর্থ হল, কোন জিনিসকে উপর থেকে নীচে ছেড়ে দেওয়া। অর্থাৎ, শয়তান তাঁদেরকে সুউচ্চ স্থান থেকে নামিয়ে নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়া পর্যন্ত নিয়ে এল।

[২] এ হল সেই অবাধ্যাচরণের প্রতিক্রিয়া, যা আদম ও হাওয়া (আলাইহিমাস সালাম) দ্বারা অজানা ও অনিচ্ছা সত্ত্বেও হয়ে যায় এবং লজ্জায় তাঁরা উভয়েই জান্নাতের কিছু পাতা একে অপরের সাথে জোড়া দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান ঢাকতে শুরু করেন। অহাব ইবনে মুনাব্বিহ বলেন, এর পূর্বে তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এমন এক নূরানী (জ্যোতির) পোশাক পেয়েছিলেন, যা যদিও দৃষ্টিগোচর হত না, তবুও অপরের দৃষ্টি থেকে লজ্জাস্থান আবৃত রাখত। (ইবনে কাসীর)

[৩] অর্থাৎ, এই সতর্কবাণী সত্ত্বেও তোমরা শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে গেলে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শয়তানের জাল এত সুন্দর এবং চিত্তাকর্ষক যে, তা থেকে বাঁচার জন্য বড় প্রচেষ্টা ও মেহনত করা এবং সব সময় তার ব্যাপারে সতর্ক ও হুঁশিয়ার থাকার প্রয়োজন হয়।