اولم ينظروا في ملكوت السماوات والارض وما خلق الله من شيء وان عسى ان يكون قد اقترب اجلهم فباي حديث بعده يومنون ١٨٥
أَوَلَمْ يَنظُرُوا۟ فِى مَلَكُوتِ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا خَلَقَ ٱللَّهُ مِن شَىْءٍۢ وَأَنْ عَسَىٰٓ أَن يَكُونَ قَدِ ٱقْتَرَبَ أَجَلُهُمْ ۖ فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ ١٨٥
اَوَلَمْ
یَنْظُرُوْا
فِیْ
مَلَكُوْتِ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ
وَمَا
خَلَقَ
اللّٰهُ
مِنْ
شَیْءٍ ۙ
وَّاَنْ
عَسٰۤی
اَنْ
یَّكُوْنَ
قَدِ
اقْتَرَبَ
اَجَلُهُمْ ۚ
فَبِاَیِّ
حَدِیْثٍ
بَعْدَهٗ
یُؤْمِنُوْنَ
۟

তারা কি লক্ষ্য করে না আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের প্রতি, আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি এবং এর প্রতিও যে, তাদের (মরণের) নির্ধারিতকাল সম্ভবতঃ নিকটবর্তী হয়ে গেছে।[১] সুতরাং এর পর তারা আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে? [২]

[১] অর্থাৎ, এই সকল জিনিস নিয়েও যদি তারা চিন্তা-ভাবনা করত, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহর উপর ঈমান আনত, তার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত ও তাঁর অনুসরণ করত, তারা যে আল্লাহর সাথে শিরক করে তা ত্যাগ করত এবং এ ব্যাপারে ভয় করত যে, তাদের মৃত্যু যেন তাদের কুফরীর অবস্থায় থাকাকালীন না আসে।

[২] حديث (কথা বা বাণী) বলতে কুরআন মাজীদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, নবী (সাঃ)-এর সতর্ক করা ও ভয় দেখানো এবং কুরআন মাজীদ (পড়া বা শোনার) পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তাহলে তাদেরকে সতর্ক করার জন্য আর কি হতে পারে, যা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হলে তারা ঈমান আনবে?