وما لهم الا يعذبهم الله وهم يصدون عن المسجد الحرام وما كانوا اولياءه ان اولياوه الا المتقون ولاكن اكثرهم لا يعلمون ٣٤
وَمَا لَهُمْ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَمَا كَانُوٓا۟ أَوْلِيَآءَهُۥٓ ۚ إِنْ أَوْلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُتَّقُونَ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ ٣٤
وَمَا
لَهُمْ
اَلَّا
یُعَذِّبَهُمُ
اللّٰهُ
وَهُمْ
یَصُدُّوْنَ
عَنِ
الْمَسْجِدِ
الْحَرَامِ
وَمَا
كَانُوْۤا
اَوْلِیَآءَهٗ ؕ
اِنْ
اَوْلِیَآؤُهٗۤ
اِلَّا
الْمُتَّقُوْنَ
وَلٰكِنَّ
اَكْثَرَهُمْ
لَا
یَعْلَمُوْنَ
۟

তাদের মধ্যে কি (এমন গুণ) আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না; যখন তারা লোকদেরকে মাসজিদুল-হারাম (পবিত্র কা’বা) হতে নিবৃত্ত করে? অথচ তারা ওর তত্ত্বাবধায়ক নয়, ওর তত্ত্বাবধায়ক তো কেবল (পরহেযগার) সাবধানী লোকেরাই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা অবগত নয়।[১]

[১] অর্থাৎ, মুশরিকরা নিজেদেরকে মাসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়ক মনে করত। আর এই কারণেই তারা যাকে ইচ্ছা তাওয়াফের অনুমতি দিত, আবার যাকে ইচ্ছা তাওয়াফে বাধা দিত। অনুরূপ মুসলিমদেরকেও মসজিদে আসতে বাধা দিত। অথচ আসলে তারা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিল না। শক্তির জোরে এ রকম মনে করত। মহান আল্লাহ বলেন, 'তার তত্ত্বাবধায়ক একমাত্র (মু'মিন) মুত্তাক্বীরাই হতে পারে, মুশরিকরা নয়।' এ ছাড়া এই আয়াতে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তার অর্থ মক্কা বিজয়। যা ছিল মক্কাবাসীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক আযাব সমতুল্য। পূর্বের আয়াতে নবী (সাঃ)-এর বর্তমানে আযাব না আসার যে কথা বলা হয়েছে, সে আযাব হল ধ্বংসের আযাব। তবে শিক্ষা ও সতর্ক করার জন্য ছোটখাট আযাব আসা তার বিরোধী নয়।