ولو نزلنا عليك كتابا في قرطاس فلمسوه بايديهم لقال الذين كفروا ان هاذا الا سحر مبين ٧
وَلَوْ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ كِتَـٰبًۭا فِى قِرْطَاسٍۢ فَلَمَسُوهُ بِأَيْدِيهِمْ لَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَـٰذَآ إِلَّا سِحْرٌۭ مُّبِينٌۭ ٧
وَلَوْ
نَزَّلْنَا
عَلَیْكَ
كِتٰبًا
فِیْ
قِرْطَاسٍ
فَلَمَسُوْهُ
بِاَیْدِیْهِمْ
لَقَالَ
الَّذِیْنَ
كَفَرُوْۤا
اِنْ
هٰذَاۤ
اِلَّا
سِحْرٌ
مُّبِیْنٌ
۟

যদি তোমার প্রতি কাগজে লিখিত কিতাবও (গ্রন্থ) অবতরণ করতাম এবং তারা যদি তা হাত দিয়ে স্পর্শও করত, তবু অবিশ্বাসীগণ বলত, ‘এ স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।’ [১]

[১] এতে তাদের অবাধ্যতা, অস্বীকার ও হঠকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে যে, আল্লাহর পক্ষ হতে সুস্পষ্ট লিখিত বিষয় এসে যাওয়া সত্ত্বেও তারা তা মানতে প্রস্তুত হবে না এবং সেটাকে একটি যাদুর কিতাব গণ্য করবে। যেমন, কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, {وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَابًا مِنَ السَّمَاءِ فَظَلُّوا فِيهِ يَعْرُجُونَ، لَقَالُوا إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَسْحُورُونَ} "যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দিই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণও করতে থাকে, তবুও ওরা এ কথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে, না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।" (সূরা হিজর ১৫:১৪-১৫) {وَإِنْ يَرَوْا كِسْفًا مِنَ السَّمَاءِ سَاقِطًا يَقُولُوا سَحَابٌ مَرْكُومٌ} "তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে, এটা তো পুঞ্জীভূত মেঘ।" (সূরা ত্বূর ৫২:৪৪) অর্থাৎ, আল্লাহর আযাবের এমন কোন একটা অপব্যাখ্যা করে নেবে, যাতে আল্লাহর ইচ্ছার কথা তাদেরকে স্বীকার করতে না হয়! অথচ সারা বিশ্বজাহানে যা কিছু হয়, সবই তাঁর ইচ্ছাতেই হয়।