وَلَا
تَقْرَبُوْا
مَالَ
الْیَتِیْمِ
اِلَّا
بِالَّتِیْ
هِیَ
اَحْسَنُ
حَتّٰی
یَبْلُغَ
اَشُدَّهٗ ۚ
وَاَوْفُوا
الْكَیْلَ
وَالْمِیْزَانَ
بِالْقِسْطِ ۚ
لَا
نُكَلِّفُ
نَفْسًا
اِلَّا
وُسْعَهَا ۚ
وَاِذَا
قُلْتُمْ
فَاعْدِلُوْا
وَلَوْ
كَانَ
ذَا
قُرْبٰی ۚ
وَبِعَهْدِ
اللّٰهِ
اَوْفُوْا ؕ
ذٰلِكُمْ
وَصّٰىكُمْ
بِهٖ
لَعَلَّكُمْ
تَذَكَّرُوْنَ
۟ۙ

পিতৃহীন বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সৎ উদ্দেশ্য ছাড়া তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়ো না[১] এবং পরিমাপ ও ওজন ন্যায়ভাবে পুরাপুরি প্রদান কর।[২] আমি কাউকেও তার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না।[৩] আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন স্বজনের বিরুদ্ধে হলেও ন্যায় কথা বল এবং আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার পূর্ণ কর। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।

[১] যে ইয়াতীমের দেখা-শোনার দায়িত্ব তোমাদের উপর আসবে, তার সর্বপ্রকার কল্যাণ কামনা করা তোমাদের উপর ফরয। আর এই কল্যাণ কামনা করার দাবী হল যে, সে যে মাল উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হয়েছে, চাহে তা স্থাবর হোক অথবা অস্থাবর, সে নিজে তা সংরক্ষণ করার যোগ্যতা রাখে না, কাজেই তার এই মালকে সেই পর্যন্ত পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে হিফাযত করবে, যে পর্যন্ত না সে সাবালকত্বের এবং ভাল-মন্দ বুঝার মত বয়সে পৌঁছে যায়। এ রকম যেন না হয় যে, দেখা-শোনার দায়িত্ব গ্রহণের নামে তার ভাল-মন্দ বোধ জ্ঞান আসার পূর্বেই তার সমস্ত মালকে নিঃশেষ করে দাও।

[২] ওজনে ও মাপে কম করা, নেওয়ার সময় পুরো মেপে নেওয়া, কিন্তু দেওয়ার সময় এ রকম না করে দাঁড়ি মেরে অপরকে কম দেওয়া হল অতি নীচ এবং জঘন্য চরিত্রের কাজ। শুআইব (আঃ)-এর জাতির মধ্যে চারিত্রিক এই রোগই বিদ্যমান ছিল, যা তাদের ধ্বংসের কারণসমূহের মূল ও প্রধান কারণ ছিল।

[৩] এখানে এ কথা বলার উদ্দেশ্য হল, যে কথাগুলোর উপর তাকীদ করলাম, সেগুলো এমন নয় যে, তার উপর আমল করা বড়ই কষ্টকর। যদি এমন হত, তাহলে আমি তার নির্দেশই দিতাম না। কারণ, সাধ্যের ঊর্ধ্বে আমি কারো উপর দায়িত্ব চাপাই না। কাজেই যদি আখেরাতের মুক্তি এবং দুনিয়াতেও সম্মান লাভে ধন্য হতে চাও, তবে আল্লাহর এই বিধানগুলোর উপর আমল কর এবং সেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।