يا معشر الجن والانس الم ياتكم رسل منكم يقصون عليكم اياتي وينذرونكم لقاء يومكم هاذا قالوا شهدنا على انفسنا وغرتهم الحياة الدنيا وشهدوا على انفسهم انهم كانوا كافرين ١٣٠
يَـٰمَعْشَرَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌۭ مِّنكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتِى وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هَـٰذَا ۚ قَالُوا۟ شَهِدْنَا عَلَىٰٓ أَنفُسِنَا ۖ وَغَرَّتْهُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَشَهِدُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوا۟ كَـٰفِرِينَ ١٣٠
یٰمَعْشَرَ
الْجِنِّ
وَالْاِنْسِ
اَلَمْ
یَاْتِكُمْ
رُسُلٌ
مِّنْكُمْ
یَقُصُّوْنَ
عَلَیْكُمْ
اٰیٰتِیْ
وَیُنْذِرُوْنَكُمْ
لِقَآءَ
یَوْمِكُمْ
هٰذَا ؕ
قَالُوْا
شَهِدْنَا
عَلٰۤی
اَنْفُسِنَا
وَغَرَّتْهُمُ
الْحَیٰوةُ
الدُّنْیَا
وَشَهِدُوْا
عَلٰۤی
اَنْفُسِهِمْ
اَنَّهُمْ
كَانُوْا
كٰفِرِیْنَ
۟

(আমি ওদেরকে বলব,) ‘হে জিন ও মানব-সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্য হতে কি রসূলগণ তোমাদের নিকট আসেনি,[১] যারা আমার নিদর্শন তোমাদের নিকট বিবৃত করত এবং তোমাদেরকে এদিনের সম্মুখীন হওয়া সম্বন্ধে সতর্ক করত?’ ওরা বলবে, ‘আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম।’ বস্তুতঃ পার্থিব জীবন ওদেরকে প্রতারিত করেছিল। আর ওরা যে অবিশ্বাসী (কাফের) ছিল এটিও ওরা স্বীকার করবে। [২]

[১] রিসালাত ও নবুঅতের ব্যাপারে জ্বিনরা মানুষেরই অনুগামী। জ্বিনদের মধ্য থেকে পৃথক কোন নবী আসেননি। অবশ্য নবীদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া ও ভীতি-প্রদর্শনের কাজ জ্বিনদের মধ্য থেকে অনেকে করেছেন। তাঁরা তাঁদের সম্প্রদায়ের জ্বিনদেরকে আল্লাহর প্রতি আহবান করেছেন এবং করছেন। তবে একটি ধারণা এও আছে যে, যেহেতু জ্বিনদের অস্তিত্ব মানুষদের অনেক পূর্ব থেকেই, তাই তাদের হিদায়াতের জন্য তাদেরই মধ্য থেকে কোন নবী এসে থাকবেন। অতঃপর আদম (আঃ)-এর অস্তিত্বের পর, হতে পারে তারা মানুষ নবীদের অনুগামী হয়েছে। অবশ্য নবী করীম (সাঃ)-এর রিসালাত ও নবুঅত সকল মানুষ ও জ্বিনদের জন্য এতে কোন সন্দেহ নেই।

[২] হাশরের মাঠে কাফেররা নানা মুখে পাঁয়তারা বদলাবে। কখনো তারা নিজেদের মুশরিক হওয়ার কথা অস্বীকার করবে। (সূরা আনআম ৬:২৩) আবার কখনো স্বীকার না করা ব্যতীত কোন উপায় থাকবে না। যেমন, এখানে তাদের স্বীকারোক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে।