ما كان محمد ابا احد من رجالكم ولاكن رسول الله وخاتم النبيين وكان الله بكل شيء عليما ٤٠
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَآ أَحَدٍۢ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَـٰكِن رَّسُولَ ٱللَّهِ وَخَاتَمَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمًۭا ٤٠
مَا
كَانَ
مُحَمَّدٌ
اَبَاۤ
اَحَدٍ
مِّنْ
رِّجَالِكُمْ
وَلٰكِنْ
رَّسُوْلَ
اللّٰهِ
وَخَاتَمَ
النَّبِیّٖنَ ؕ
وَكَانَ
اللّٰهُ
بِكُلِّ
شَیْءٍ
عَلِیْمًا
۟۠

মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নয়,[১] বরং সে আল্লাহর রসূল ও শেষ নবী।[২] আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।

[১] এই জন্য তিনি যায়েদ বিন হারেসা (রাঃ)-এরও পিতা নন, যার ফলে তাঁকে মন্তব্যের নিশানা বানানো যাবে যে, তিনি আপন পুত্রবধূকে কেন বিয়ে করলেন? বরং শুধু যায়েদ কেন তিনি কোন পুরুষেরই পিতা নন। কারণ যায়েদ তো হারেসার পুত্র ছিলেন। নবী (সাঃ) তো তাঁকে শুধু পোষ্যপুত্র বানিয়েছিলেন এবং জাহেলী নিয়মে তাঁকে যায়েদ বিন মুহাম্মাদ বলা হত মাত্র। প্রকৃতপক্ষে তিনি নবী (সাঃ)-এর পুত্র ছিলেন না। যার ফলে (اُدْعُوْهُمْ لآبآئِهم) আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর তাঁকে যায়েদ বিন হারেসা নামেই ডাকা হত। এ ছাড়া খাদীজার গর্ভে নবী (সাঃ)-এর তিন ছেলে; ক্বাসেম, ত্বাহের ও ত্বাইয়েব জন্ম নিয়েছিলেন। আর মারিয়া কিবত্বিয়ার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন ইবরাহীম। কিন্তু সকলেই শিশু অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। তাঁরা কেউ পুরুষত্বের বয়স পাননি। সুতরাং নবী (সাঃ)-এর পুত্রদের কেউ পুরুষ হননি; যাঁর তিনি পিতা ছিলেন। (ইবনে কাসীর)

[২] خَاتَمٌ মোহরকে বলা হয়। আর মোহর সর্বশেষ কর্মকে বলা হয়। (যেমন পত্রের শেষে মোহর মারা হয়।) অর্থাৎ নবী (সাঃ) থেকে নবুঅত ও রিসালাতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পর যে কেউ নবী হওয়ার দাবী করবে, সে নবী নয়; বরং মিথ্যুক ও দাজ্জাল বলে পরিগণিত হবে। উক্ত বিষয়ে হাদীস গ্রন্থসমূহে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এবং তাতে সকল উম্মত একমত। কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে ঈসা (আঃ)-এর অবতরণ হবে, যা সহীহ ও সূত্রবহুল প্রসিদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত। তবে তিনি নবী হয়ে আসবেন না; বরং শেষ নবী (সাঃ)-এর উম্মত হয়ে আসবেন। যার ফলে তাঁর অবতরণ হওয়া 'খাতমে নবুঅত'-এর আকীদার পরিপন্থী নয়।