وَقَالُوْا
هٰذِهٖۤ
اَنْعَامٌ
وَّحَرْثٌ
حِجْرٌ ۖۗ
لَّا
یَطْعَمُهَاۤ
اِلَّا
مَنْ
نَّشَآءُ
بِزَعْمِهِمْ
وَاَنْعَامٌ
حُرِّمَتْ
ظُهُوْرُهَا
وَاَنْعَامٌ
لَّا
یَذْكُرُوْنَ
اسْمَ
اللّٰهِ
عَلَیْهَا
افْتِرَآءً
عَلَیْهِ ؕ
سَیَجْزِیْهِمْ
بِمَا
كَانُوْا
یَفْتَرُوْنَ
۟

আর তারা তাদের ধারণা অনুসারে বলে, ‘এ সব গবাদি পশু ও শস্যক্ষেত্র নিষিদ্ধ; আমরা যাকে ইচ্ছা করি সে ব্যতীত কেউ এই সব আহার করতে পারে না,[১] কতক গবাদি পশু রয়েছে যাদের পৃষ্ঠে আরোহণ করা নিষিদ্ধ’[২] এবং কিছু পশু আছে যাদের যবেহ করার সময় তারা আল্লাহর নাম নেয় না।[৩] এ সমস্তই তারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে বলে। তাদের মিথ্যা রচনার প্রতিফল তিনি শীঘ্রই তাদেরকে দেবেন।

[১] এই আয়াতে তাদের জাহেলী বিধান এবং বাতিল ধর্মের আরো তিনটি চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। حِجْرٌ (অর্থঃ নিষেধ) যদিও ক্রিয়া বিশেষ্য কিন্তু তা ব্যবহার হয়েছে مَحْجُوْرٌ (নিষিদ্ধ) কর্মকারকের অর্থে। এটা হল প্রথম চিত্র; এই পশু অথবা অমুক জমির ফসল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এটা কেবল সেই খেতে পারবে, যাকে আমরা অনুমতি দেব। আর এই অনুমতি মূর্তিদের খাদেম এবং পুরোহিত-পান্ডাদের জন্যই দেওয়া হত।

[২] এটা হল দ্বিতীয় চিত্র। তারা বিভিন্ন প্রকারের পশুকে তাদের মূর্তিদের নামে উৎসর্গ করে স্বাধীন ছেড়ে দিত। তাদের দ্বারা তারা বোঝা বহন অথবা সওয়ারীর কাজ নিত না। যেমন, বাহীরাহ, সায়েবাহ ইত্যাদির বিশ্লেষণ পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।

[৩] এটা হল তৃতীয় চিত্র। তারা যবেহ করার সময় নিজেদের মূর্তিদের নাম নিত, আল্লাহর নাম নিত না। কেউ কেউ এর অর্থ এই বলেছেন যে, এই পশুগুলোর উপর সওয়ার হয়ে তারা হজ্জে যেত না। যাই হোক, এই সমস্ত রকম বিধান ছিল তাদের নিজস্ব মনগড়া, কিন্তু তারা আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করত। অর্থাৎ, এই ধারণা প্রকাশ করত যে, তারা আল্লাহরই নির্দেশে এ সব কিছু করছে।

আপনার Quran.com অভিজ্ঞতা সর্বাধিক করুন!
এখনই আপনার সফর শুরু করুন:

%