وربك الغني ذو الرحمة ان يشا يذهبكم ويستخلف من بعدكم ما يشاء كما انشاكم من ذرية قوم اخرين ١٣٣
وَرَبُّكَ ٱلْغَنِىُّ ذُو ٱلرَّحْمَةِ ۚ إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَسْتَخْلِفْ مِنۢ بَعْدِكُم مَّا يَشَآءُ كَمَآ أَنشَأَكُم مِّن ذُرِّيَّةِ قَوْمٍ ءَاخَرِينَ ١٣٣
وَرَبُّكَ
الْغَنِیُّ
ذُو
الرَّحْمَةِ ؕ
اِنْ
یَّشَاْ
یُذْهِبْكُمْ
وَیَسْتَخْلِفْ
مِنْ
بَعْدِكُمْ
مَّا
یَشَآءُ
كَمَاۤ
اَنْشَاَكُمْ
مِّنْ
ذُرِّیَّةِ
قَوْمٍ
اٰخَرِیْنَ
۟ؕ

তোমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, দয়াশীল।[১] তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করতে এবং তোমাদের পরে যাকে ইচ্ছা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন; যেমন তোমাদেরকে তিনি অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন। [২]

[১] তিনি তাঁর সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন। না তিনি তাদের (শক্তি বা অর্থের) মুখাপেক্ষী, আর না তাদের ইবাদতের তাঁর প্রয়োজন। না তাদের ঈমান তাঁর জন্য ফলপ্রসূ, আর না তাদের কুফরী তাঁর জন্য ক্ষতিকর। তবে অমুখাপেক্ষী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি দয়ালু। তাঁর অমুখাপেক্ষিতা স্বীয় সৃষ্টিকুলের প্রতি দয়া করার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না।[২] এ হল তাঁর বিশাল শক্তি এবং সীমাহীন কুদরতের প্রকাশ। যেভাবে পূর্বের কয়েকটি সম্প্রদায়কে তিনি নিঃশেষ করে দিয়েছেন এবং তাদের স্থানে নতুন জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তিনি এখনও এই সামর্থ্য রাখেন যে, যখন ইচ্ছা তোমাদেরকে বিনাশ করবেন এবং তোমাদের স্থানে এমন জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা তোমাদের মত হবে না।(আরো দেখুন! সূরা নিসার ৪:১৩৩ নং আয়াত, সূরা ইবরাহীমের ১৪:১৯-২০নং আয়াত, সূরা ফাত্বিরের ৩৫:১৫-১৭ নং আয়াত এবং সূরা মুহাম্মাদের ৪৭:৩৮ নং আয়াত।)