قل لا يستوي الخبيث والطيب ولو اعجبك كثرة الخبيث فاتقوا الله يا اولي الالباب لعلكم تفلحون ١٠٠
قُل لَّا يَسْتَوِى ٱلْخَبِيثُ وَٱلطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ ٱلْخَبِيثِ ۚ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَـٰٓأُو۟لِى ٱلْأَلْبَـٰبِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ١٠٠
قُلْ
لَّا
یَسْتَوِی
الْخَبِیْثُ
وَالطَّیِّبُ
وَلَوْ
اَعْجَبَكَ
كَثْرَةُ
الْخَبِیْثِ ۚ
فَاتَّقُوا
اللّٰهَ
یٰۤاُولِی
الْاَلْبَابِ
لَعَلَّكُمْ
تُفْلِحُوْنَ
۟۠

১০০ নং আয়াতের তাফসীর:

কোন খারাপ বস্তু ভাল বস্তুর সমান নয়। যেমন কাফির মু’মিনের সমান নয়। পাপাচারী ব্যক্তি আনুগত্যশীল ব্যক্তির সমান নয়। অজ্ঞ জ্ঞানী ব্যক্তির সমান নয়। বিদআতী সুন্নাতের অনুসারী ব্যক্তির সমান নয়। হারাম মাল হালাল মালের সমান নয় যদিও খারাপের আধিক্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। (তাফসীর মুয়াসসার পৃঃ ১২৪)

এরূপ দৃষ্টান্ত দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(أَمْ نَجْعَلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَالْمُفْسِدِيْنَ فِي الْأَرْضِ ز أَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِيْنَ كَالْفُجَّارِ)

“যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে আমি কি তাদেরকে ঐসব লোকের সমান করে দেব, যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়? অথবা আমি কি মুত্তাক্বীদেরকে গুনাহগারদের সমান করে দেব?” (সূরা সাদ ৩৮:২৮) সুতরাং আধিক্য কোন জিনিসের ভাল বা সত্যের মাপকাঠি নয়।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. ভাল ও মন্দ সমান নয়।

২. আল্লাহকে ভয় করে চললেই বান্দার জীবনে সর্ব প্রকারের সফলতা আসে।