52:29 52:34 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
فذكر فما انت بنعمت ربك بكاهن ولا مجنون ٢٩ ام يقولون شاعر نتربص به ريب المنون ٣٠ قل تربصوا فاني معكم من المتربصين ٣١ ام تامرهم احلامهم بهاذا ام هم قوم طاغون ٣٢ ام يقولون تقوله بل لا يومنون ٣٣ فلياتوا بحديث مثله ان كانوا صادقين ٣٤
فَذَكِّرْ فَمَآ أَنتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍۢ وَلَا مَجْنُونٍ ٢٩ أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌۭ نَّتَرَبَّصُ بِهِۦ رَيْبَ ٱلْمَنُونِ ٣٠ قُلْ تَرَبَّصُوا۟ فَإِنِّى مَعَكُم مِّنَ ٱلْمُتَرَبِّصِينَ ٣١ أَمْ تَأْمُرُهُمْ أَحْلَـٰمُهُم بِهَـٰذَآ ۚ أَمْ هُمْ قَوْمٌۭ طَاغُونَ ٣٢ أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُۥ ۚ بَل لَّا يُؤْمِنُونَ ٣٣ فَلْيَأْتُوا۟ بِحَدِيثٍۢ مِّثْلِهِۦٓ إِن كَانُوا۟ صَـٰدِقِينَ ٣٤
فَذَكِّرْ
فَمَاۤ
اَنْتَ
بِنِعْمَتِ
رَبِّكَ
بِكَاهِنٍ
وَّلَا
مَجْنُوْنٍ
۟ؕ
اَمْ
یَقُوْلُوْنَ
شَاعِرٌ
نَّتَرَبَّصُ
بِهٖ
رَیْبَ
الْمَنُوْنِ
۟
قُلْ
تَرَبَّصُوْا
فَاِنِّیْ
مَعَكُمْ
مِّنَ
الْمُتَرَبِّصِیْنَ
۟ؕ
اَمْ
تَاْمُرُهُمْ
اَحْلَامُهُمْ
بِهٰذَاۤ
اَمْ
هُمْ
قَوْمٌ
طَاغُوْنَ
۟ۚ
اَمْ
یَقُوْلُوْنَ
تَقَوَّلَهٗ ۚ
بَلْ
لَّا
یُؤْمِنُوْنَ
۟ۚ
فَلْیَاْتُوْا
بِحَدِیْثٍ
مِّثْلِهٖۤ
اِنْ
كَانُوْا
صٰدِقِیْنَ
۟ؕ

২৯-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তিনি যেন তার রিসালাত তাঁর বান্দাদের নিকট পৌছাতে থাকেন। সাথে সাথে দুষ্ট লোকেরা তাকে যে দোষে দোষী করছে তা হতে তাঁকে তিনি মুক্ত ও পবিত্র বলে ঘোষণা করছেন। কাহেন বা গণক ঐ ব্যক্তিকে বলে যার কাছে মাঝে মাঝে কোন জ্বিন কোন খবর পৌছিয়ে থাকে। তাই আল্লাহ পাক তাঁর নবী (সঃ)-কে বলছেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি উপদেশ দান করতে থাকো। তোমার প্রতিপালক আল্লাহর অনুগ্রহে তুমি গণকও নও এবং পাগলও নও।এরপর কাফিরদের উক্তি উদ্ধৃত করা হচ্ছে যে, তারা বলেঃ “মুহাম্মাদ (সঃ) একজন কবি ছাড়া কিছুই নন। তিনি ইন্তেকাল করলে কেই বা তাঁর মত হবে এবং কেই বা তার দ্বীন রক্ষা করবে? তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথেই তার দ্বীন বিদায় গ্রহণ করবে। তাদের একথার জবাবে মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাও- তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি। ভাল পরিণাম এবং চিরস্থায়ী সফলতা লাভ কার হয় তা দুনিয়া শীঘ্রই জানতে পারবে। দারুন নাদওয়াতে কুরায়েশরা পরামর্শ করে যে, অন্যান্য কবিদের মত মুহাম্মাদ (সঃ) একজন কবি। সুতরাং তাকে বন্দী করা হোক, যাতে তিনি সেখানে ধ্বংস হয়ে যান। যেমন পরিণাম হয়েছিল কবি যুহায়ের ও কবি নাবেগার, অনুরূপ পরিণাম তারও হবে। তখন এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়।অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেন যে, তবে কি তাদের বুদ্ধি-বিবেক তাদেরকে এই বিষয়ে প্ররোচিত করে, না তারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। অর্থাৎ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এরা বড়ই হঠকারী, উদ্ধত এবং বিভ্রান্ত সম্প্রদায়। হিংসা ও শক্রতার কারণেই তারা জেনে শুনে নবী (সঃ)-এর উপর মিথ্যা আরোপ করছে। তারা বলে যে, এই কুরআন মুহাম্মাদ (সঃ) স্বয়ং রচনা করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার তো তা নয়। কিন্তু তাদের কুফরী তাদের মুখ দিয়ে এই মিথ্যা কথা বের করছে। তারা যদি তাদের এ কথায় সত্যবাদী হয় তবে এর সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না! এই কাফির কুরায়েশরা শুধু নয়, বরং যদি তাদের সাথে সারা বিশ্বের সমস্ত জ্বিন এবং মানুষও যোগ দেয় তবুও তারা এই কুরআনের অনুরূপ কিতাব পেশ করতে অক্ষম হয়ে যাবে। গোটা কুরআন নয়, বরং এর মত দশটি সূরা, এমনকি একটি সূরাও কিয়ামত পর্যন্ত তারা আনতে পারবে না।