49:14 49:18 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
۞ قالت الاعراب امنا قل لم تومنوا ولاكن قولوا اسلمنا ولما يدخل الايمان في قلوبكم وان تطيعوا الله ورسوله لا يلتكم من اعمالكم شييا ان الله غفور رحيم ١٤ انما المومنون الذين امنوا بالله ورسوله ثم لم يرتابوا وجاهدوا باموالهم وانفسهم في سبيل الله اولايك هم الصادقون ١٥ قل اتعلمون الله بدينكم والله يعلم ما في السماوات وما في الارض والله بكل شيء عليم ١٦ يمنون عليك ان اسلموا قل لا تمنوا علي اسلامكم بل الله يمن عليكم ان هداكم للايمان ان كنتم صادقين ١٧ ان الله يعلم غيب السماوات والارض والله بصير بما تعملون ١٨
۞ قَالَتِ ٱلْأَعْرَابُ ءَامَنَّا ۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا۟ وَلَـٰكِن قُولُوٓا۟ أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ ٱلْإِيمَـٰنُ فِى قُلُوبِكُمْ ۖ وَإِن تُطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَا يَلِتْكُم مِّنْ أَعْمَـٰلِكُمْ شَيْـًٔا ۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌ ١٤ إِنَّمَا ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا۟ وَجَـٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّـٰدِقُونَ ١٥ قُلْ أَتُعَلِّمُونَ ٱللَّهَ بِدِينِكُمْ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۚ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۭ ١٦ يَمُنُّونَ عَلَيْكَ أَنْ أَسْلَمُوا۟ ۖ قُل لَّا تَمُنُّوا۟ عَلَىَّ إِسْلَـٰمَكُم ۖ بَلِ ٱللَّهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَىٰكُمْ لِلْإِيمَـٰنِ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ ١٧ إِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ غَيْبَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ ١٨
قَالَتِ
الْاَعْرَابُ
اٰمَنَّا ؕ
قُلْ
لَّمْ
تُؤْمِنُوْا
وَلٰكِنْ
قُوْلُوْۤا
اَسْلَمْنَا
وَلَمَّا
یَدْخُلِ
الْاِیْمَانُ
فِیْ
قُلُوْبِكُمْ ؕ
وَاِنْ
تُطِیْعُوا
اللّٰهَ
وَرَسُوْلَهٗ
لَا
یَلِتْكُمْ
مِّنْ
اَعْمَالِكُمْ
شَیْـًٔا ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
غَفُوْرٌ
رَّحِیْمٌ
۟
اِنَّمَا
الْمُؤْمِنُوْنَ
الَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا
بِاللّٰهِ
وَرَسُوْلِهٖ
ثُمَّ
لَمْ
یَرْتَابُوْا
وَجٰهَدُوْا
بِاَمْوَالِهِمْ
وَاَنْفُسِهِمْ
فِیْ
سَبِیْلِ
اللّٰهِ ؕ
اُولٰٓىِٕكَ
هُمُ
الصّٰدِقُوْنَ
۟
قُلْ
اَتُعَلِّمُوْنَ
اللّٰهَ
بِدِیْنِكُمْ ؕ
وَاللّٰهُ
یَعْلَمُ
مَا
فِی
السَّمٰوٰتِ
وَمَا
فِی
الْاَرْضِ ؕ
وَاللّٰهُ
بِكُلِّ
شَیْءٍ
عَلِیْمٌ
۟
یَمُنُّوْنَ
عَلَیْكَ
اَنْ
اَسْلَمُوْا ؕ
قُلْ
لَّا
تَمُنُّوْا
عَلَیَّ
اِسْلَامَكُمْ ۚ
بَلِ
اللّٰهُ
یَمُنُّ
عَلَیْكُمْ
اَنْ
هَدٰىكُمْ
لِلْاِیْمَانِ
اِنْ
كُنْتُمْ
صٰدِقِیْنَ
۟
اِنَّ
اللّٰهَ
یَعْلَمُ
غَیْبَ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
وَاللّٰهُ
بَصِیْرٌ
بِمَا
تَعْمَلُوْنَ
۟۠

১৪-১৮ নং আয়াতের তাফসীর: যেসব আরব বেদুঈন ইসলামে দাখিল হওয়া মাত্রই বাড়িয়ে-চাড়িয়ে নিজেদের ঈমানের দাবী করতে শুরু করেছিল, অথচ প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে ঈমান দৃঢ় হয়নি তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা এই দাবী করতে নিষেধ করছেন। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলছেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, যেহেতু ঈমান তাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে প্রবেশ করেনি সেই হেতু তারা ঈমান এনেছে একথা যেন না বলে, বরং যেন বলে যে, তারা ইসলামের গণ্ডীর মধ্যে এসেছে এবং নবী (সঃ)-এর অনুগত হয়েছে।এ আয়াত দ্বারা এটা জানা গেল যে, ঈমান ইসলাম হতে মাখসূস বা বিশিষ্ট, যেমন এটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মাযহাব। হযরত জিবরাঈল (আঃ) যুক্ত হাদীসটিও এটাই প্রমাণ করে। তিনি (হযরত জিবরাইল আঃ) ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং পরে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করেন ইহসান সম্পর্কে। সুতরাং সাধারণ হতে ক্রমান্বয়ে বিশিষ্টের দিকে উঠে যান। তারপর উঠে যান আরো খাস বা বিশিষ্টের দিকে। হযরত সা'দ ইবনে আবি অক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কতগুলো লোককে (দানের মাল হতে) প্রদান করলেন এবং একটি লোককে কিছুই দিলেন না। তখন হযরত সা'দ (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনি অমুক, অমুককে দিলেন আর অমুককে দিলেন না, অথচ সে মুমিন?" একথা তিনি তিনবার বললেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) জবাবে বললেনঃ “অথবা সে মুসলিম?" এই জবাবই তিনিও তিনবার দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ “নিশ্চয়ই আমি কতক লোককে প্রদান করি এবং তাদের মধ্যে আমার নিকট যে খুবই প্রিয় তাকে ছেড়ে দিই, কিছুই দিই না এই ভয়ে যে, (যাদেরকে প্রদান করি তাদেরকে প্রদান না করলে) তারা (হয়তো ইসলাম পরিত্যাগ করবে এবং এর ফলে) উল্টো মুখে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) এটা তাদের নিজ নিজ সহীহ গ্রন্থে তাখরীজ করেছেন) সুতরাং এ হাদীসেও রাসূলুল্লাহ (সঃ) মুমিন ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য করলেন এবং জানা গেল যে, ইসলামের তুলনায় ঈমান অধিক খাস বা বিশিষ্ট। আমরা এটাকে দলীল প্রমাণাদিসহ সহীহ বুখারীর কিতাবুল ঈমানের শরাহতে বর্ণনা করেছি। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলারই প্রাপ্য। এ হাদীস দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় যে, এ লোকটি মুসলমান ছিল, মুনাফিক ছিল না। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে কিছু প্রদান করেননি এবং তাকে তার ইসলামের উপর সমর্পণ করে দেন। সুতরাং জানা গেল যে, এই আয়াতে যে বেদুঈনদের বর্ণনা রয়েছে তারা মুনাফিক ছিল না, তারা ছিল তো মুসলমান, কিন্তু ঈমান তাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে বদ্ধমূল হয়নি। তারা ঈমানের এমন উচ্চ স্তরে পৌছার দাবী করেছিল যেখানে তারা আসলে পৌঁছতে পারেনি। এ জন্যেই তাদেরকে আদব বা ভদ্রতা শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এই ভাবার্থই হবে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত ইবরাহীম নাখঈ (রঃ) এবং হযরত কাতাদা (রঃ)-এর উক্তির। এটাকেই ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) গ্রহণ করেছেন। আমাদের এসব কথা এজন্যেই বলতে হলো যে, ইমাম বুখারী (রঃ)-এর মতে এলোকগুলো মুনাফিক ছিল, যারা নিজেদেরকে বাহ্যিকভাবে মুমিন রূপে প্রকাশ করতো, কিন্তু আসলে মুমিন ছিল না।এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, ঈমান ও ইসলামের মধ্যে ঐ সময় পার্থক্য হবে যখন ইসলাম স্বীয় হাকীকতের উপর না হবে। যখন ইসলাম হাকীকী হবে তখন ঐ ইসলামই ঈমান। ঐ সময় ঈমান ও ইসলামের মধ্যে কোনই পার্থক্য থাকবে না। এর বহু সবল দলীল প্রমাণ ইমাম বুখারী (রঃ) স্বীয় কিতাব সহীহ বুখারীর মধ্যে বর্ণনা করেছেন।হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ) এবং হযরত ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা যে বলেছেনঃ বরং তোমরা বল’ এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ আমরা নিহত হওয়া থেকে এবং বন্দী হওয়া থেকে বাঁচার জন্যে ফরমানের প্রতি অনুগত হলাম। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, এ আয়াতটি বানু আসাদ ইবনে খুযাইমার ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এ আয়াত ঐ লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যারা মনে করেছিল যে, তারা ঈমান এনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রতি অনুগ্রহ করেছে। কিন্তু প্রথমটিই সঠিক কথা যে, এই আয়াতটি ঐ লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যারা ঈমানের স্থানে পৌঁছে যাওয়ার দাবী করতো, অথচ সেখানে তারা পৌঁছতে পারেনি। সুতরাং তাদেরকে আদব বা দ্রতা শিক্ষা দেয়া হয় যে, তখন পর্যন্ত তারা ঈমানের স্তর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। যদি তারা মুনাফিক হতো তবে অবশ্যই তাদেরকে ধমকানো হতো এবং ভীতি প্রদর্শন করা হতো। আর করা হতো তাদেরকে অপদস্থ ও অপমানিত। যেমন সূরায়ে বারাআতে মুনাফিকদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে তো শুধু তাদেরকে আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর আনুগত্য কর তবে তোমাদের কর্ম সামান্য পরিমাণও লাঘব হবে না। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তাদের আমল হতে কিছুই কমিয়ে দিই নি।” (৫২:২১)। মহান আল্লাহ এরপর বলেনঃ যারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে থাকেন এবং তাদের প্রতি দয়া করেন। কেননা, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তারাই পূর্ণ মুমিন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না, বরং ঈমানের উপর অটল থাকে এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, তারাই সত্যনিষ্ঠ। অর্থাৎ এরাই এমন লোক যারা বলতে পারে যে, তারা ঈমান এনেছে। তারা ঐ লোকদের মত নয় যারা শুধু মুখেই ঈমানের দাবী করে। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “দুনিয়ায় তিন প্রকারের মুমিন রয়েছে। (এক) যারা আল্লাহর উপর ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর উপর ঈমান এনেছে, অতঃপর কোন সন্দেহ পোষণ করেনি এবং নিজেদের মাল-ধন ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে। (দুই) যাদের থেকে লোকেরা নিরাপত্তা লাভ করেছে। তারা না তাদের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করে, না তাদেরকে হত্যা করে। (তিন) যারা লোভনীয় বস্তুর দিকে ঝুঁকে পড়ার পর মহামহিমান্বিত আল্লাহর (ভয়ের জন্যে তা পরিত্যাগ করে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ তোমরা তোমাদের ঈমান ও দ্বীনের কথা আল্লাহকে জানাচ্ছ? অথচ আল্লাহ এমনই যে, যমীন ও আসমানের অণুপরিমাণ জিনিসও তাঁর নিকট গোপন নেই। যা কিছু আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে রয়েছে সবই তিনি জানেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।মহান আল্লাহ বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! যেসব আরব বেদুঈন ইসলাম গ্রহণ করেছে বলে তোমাকে অনুগ্রহের খোটা দিচ্ছে তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ তোমরা ইসলাম কবুল করেছে বলে আমাকে অনুগ্রহের খোটা দিয়ো না। তোমরা ইসলাম কবুল করলে, আমার আনুগত্য করলে এবং আমাকে সাহায্য করলে তোমাদের নিজেদেরই উপকার হবে, বরং আল্লাহই ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন, এটা তোমাদের প্রতিই আল্লাহর বড় অনুগ্রহ, যদি তোমরা তোমাদের ঈমানের দাবীতে সত্যবাদী হও। সুতরাং আল্লাহ তা'আলার কাউকেও ঈমানের পথ দেখানো অর্থ তার উপর তার ইহসান বা অনুগ্রহ করা। যেমন রাসূলুল্লাহ (সঃ) হুনায়েনের যুদ্ধের শেষে (যুদ্ধলব্ধ মাল বন্টনের ক্ষেত্রে) আনসারদেরকে বলেছিলেনঃ “আমি কি তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট অবস্থায় পেয়েছিলাম না? অতঃপর আল্লাহ তা'আলা আমার কারণে তোমাদেরকে সুপথ প্রদর্শন করেছেন? তোমরা তো পৃথক পৃথক হয়েছিলে? অতঃপর আমার কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে একত্রিত করেছেন এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যে প্রেম-প্রীতি সৃষ্টি করেছেন? তোমরা তো দরিদ্র ছিলে? অতঃপর আল্লাহ আমার কারণে তোমাদেরকে সম্পদশালী করেছেন?” তারা তার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তরে সমস্বরে বলতে থাকেনঃ “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সঃ)-এর চেয়েও বেশী আমাদের উপর অনুগ্রহকারী।”হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, বানু আসাদ গোত্র রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট আগমন করে এবং বলেঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা মুসলমান হয়েছি এবং আরবরা আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু আমরা আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদের সম্পর্কে বলেনঃ “এদের বোধশক্তি কম এবং তাদের মুখ দ্বারা শয়তানরা কথা বলছে।” তখন (আরবী)-এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। পুনরায় আল্লাহ তা'আলা তাঁর প্রশস্ত ও ব্যাপক জ্ঞান এবং বান্দাদের সমস্ত আমল সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল হওয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন। তাঁর বান্দাদের সমস্ত আমলের তিনি পূর্ণ খবর রাখেন।