ولو نشاء لاريناكهم فلعرفتهم بسيماهم ولتعرفنهم في لحن القول والله يعلم اعمالكم ٣٠
وَلَوْ نَشَآءُ لَأَرَيْنَـٰكَهُمْ فَلَعَرَفْتَهُم بِسِيمَـٰهُمْ ۚ وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ فِى لَحْنِ ٱلْقَوْلِ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ أَعْمَـٰلَكُمْ ٣٠
وَلَوْ
نَشَآءُ
لَاَرَیْنٰكَهُمْ
فَلَعَرَفْتَهُمْ
بِسِیْمٰهُمْ ؕ
وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ
فِیْ
لَحْنِ
الْقَوْلِ ؕ
وَاللّٰهُ
یَعْلَمُ
اَعْمَالَكُمْ
۟

আমি ইচ্ছা করলে তোমাকে তাদেরকে দেখিয়ে দিতাম, ফলে তুমি তাদের লক্ষণ দেখে তাদেরকে চিনতে পারতে,[১] তবে তুমি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবে।[২] আর আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত।

[১] অর্থাৎ, এক একজনকে এমনভাবে চিহ্নিত করে দিতাম যে, প্রত্যেক মুনাফিককে প্রকাশ্যে চেনা যেত। কিন্তু সমস্ত মুনাফিকদের জন্য আল্লাহ এ রকম এই জন্য করেননি যে, এটা তাঁর গোপনকারী গুণের বিপরীত। তিনি সাধারণতঃ (মানুষের পাপ-রহস্য) গোপন রাখেন; প্রকাশ করেন না। দ্বিতীয়তঃ তিনি মানুষের বাহ্যিক অবস্থার ভিত্তিতে বিচার করার এবং গোপনীয় ব্যাপারকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

[২] অবশ্য তাদের কথা বলার ধরণ ও বাচনভঙ্গি এমন হয় যে, তা তাদের মনের খবর প্রকাশ করে দেয়। যার দ্বারা পয়গম্বর তো তাদেরকে অবশ্যই চিনতে পারেন। এটা সাধারণতঃ দেখা যায় যে, মানুষের অন্তরে যা কিছু হয়, সেটাকে সে যতই গোপন করার চেষ্টা করুক না কেন, তার কথার ঢঙ, হাবভাব, ভাবভঙ্গি, গতিবিধি এবং কোন কোন বিশেষ অবস্থা তার অন্তরের গোপন রহস্যকে উদঘাটন করে দেয়।