46:26 46:28 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
وَلَقَدْ
مَكَّنّٰهُمْ
فِیْمَاۤ
اِنْ
مَّكَّنّٰكُمْ
فِیْهِ
وَجَعَلْنَا
لَهُمْ
سَمْعًا
وَّاَبْصَارًا
وَّاَفْـِٕدَةً ۖؗ
فَمَاۤ
اَغْنٰی
عَنْهُمْ
سَمْعُهُمْ
وَلَاۤ
اَبْصَارُهُمْ
وَلَاۤ
اَفْـِٕدَتُهُمْ
مِّنْ
شَیْءٍ
اِذْ
كَانُوْا
یَجْحَدُوْنَ ۙ
بِاٰیٰتِ
اللّٰهِ
وَحَاقَ
بِهِمْ
مَّا
كَانُوْا
بِهٖ
یَسْتَهْزِءُوْنَ
۟۠
وَلَقَدْ
اَهْلَكْنَا
مَا
حَوْلَكُمْ
مِّنَ
الْقُرٰی
وَصَرَّفْنَا
الْاٰیٰتِ
لَعَلَّهُمْ
یَرْجِعُوْنَ
۟
فَلَوْلَا
نَصَرَهُمُ
الَّذِیْنَ
اتَّخَذُوْا
مِنْ
دُوْنِ
اللّٰهِ
قُرْبَانًا
اٰلِهَةً ؕ
بَلْ
ضَلُّوْا
عَنْهُمْ ۚ
وَذٰلِكَ
اِفْكُهُمْ
وَمَا
كَانُوْا
یَفْتَرُوْنَ
۟

২৬-২৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা উম্মতে মুহাম্মাদ (সঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেনঃ আমি তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদেরকে সুখ-ভোগের উপকরণ হিসেবে যে ধন-মাল, সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি দিয়েছিলাম, সেই পরিমাণ তো তোমাদেরকে এখনো দেয়া হয়নি। তাদেরও কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ছিল। কিন্তু যখন তারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে বসলো এবং আমার আযাবের ব্যাপারে সন্ধিহান হয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করলো, অবশেষে যখন তাদের উপর আমার আযাব এসেই পড়লো, তখন তাদের এই বাহ্যিক উপকরণ তাদের কোনই কাজে আসলো না। ঐ আযাব তাদের উপর এসেই পড়লো যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। সুতরাং তোমাদের তাদের মত হওয়া উচিত নয়। এমন যেন না হয় যে, তাদের মত শাস্তি তোমাদের উপরও এসে পড়ে এবং তাদের মত তোমাদেরও মূলোৎপাটন করে দেয়া হয়। এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ হে মক্কাবাসী! তোমরা তোমাদের আশে-পাশে একটু চেয়ে দেখো যে, তাদেরকে কিভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কিভাবে তারা তাদের কৃতকর্মের ফল পেয়ে গেছে। আহকাফ যা ইয়ামনের পাশেই হাযরা মাউতের অঞ্চলে অবস্থিত, তথাকার অধিবাসী আ’দ সম্প্রদায়ের পরিণামের দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ কর! আর তোমাদের ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী সামদ সম্প্রদায়ের পরিণামের কথাই একটু চিন্তা কর। ইয়ামনবাসী ও মাদইয়ানবাসী সম্প্রদায়ের পরিণামের প্রতি একটু লক্ষ্য কর। তোমরা তো যুদ্ধ-বিগ্রহ ও ব্যবসা-বাণিজ্য উপলক্ষে সেখান দিয়ে প্রায়ই গমনাগমন করে থাকো। হযরত লূত (আঃ)-এর বাহীরা সম্প্রদায় হতে তোমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তাদের বাসভূমিও তোমাদের যাতায়াতের পথেই পড়ে। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি আমার নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করেছি যাতে তারা সৎপথে ফিরে আসে।ইরশাদ হচ্ছেঃ তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে মা’ব্দরূপে গ্রহণ করেছিল, যদিও এতে তাদের ধারণা এই ছিল যে, তাদের মাধ্যমে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে, কিন্তু যখন তাদের উপর আল্লাহর আযাব এসে পড়লো এবং তারা তাদের ঐ মিথ্যা মা’ৰূদদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো তখন তারা তাদের কোন সাহায্য করলো কি? কখনোই না। বরং তাদের প্রয়োজন ও বিপদের সময় তাদের ঐসব বাতিল মা'বূদ অন্তর্হিত হয়ে পড়লো। তাদেরকে খুঁজেও পাওয়া গেল না। মোটকথা, তাদেরকে পূজনীয় হিসেবে গ্রহণ করে তারা চরম ভুল করেছিল। তাদের মিথ্যা ও অলীক উদ্ভাবনের পরিণাম এই রূপই।