সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।[১] যখন ওরা জাহান্নামের নিকট উপস্থিত হবে, তখন তার দরজা খুলে দেওয়া হবে[২] এবং জাহান্নামের রক্ষীরা ওদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রসূল আসেনি; যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করত?’ ওরা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল।[৩] কিন্তু সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি শাস্তির বাক্য বাস্তবায়িত হয়েছে।’ [৪]
[১] زُمَرٌ এর উৎপত্তি হল زَمْرٌ থেকে। অর্থ হল, শব্দ। প্রত্যেক দল বা জামাআতে শোরগোল অবশ্যই হয়, এই জন্য এটা জামাআত ও দল অর্থেও ব্যবহার হয়। অর্থাৎ, কাফেরদেরকে দল আকারে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। একটি দলের পিছনে থাকবে আর একটি দল। তাছাড়া তাদেরকে মারতে মারতে ও ধাক্কা দিতে দিতে পশুর পালের মত হাঁকিয়ে-ডাকিয়ে-তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, ﴿يَوْمَ يُدَعُّونَ إِلَى نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا﴾ অর্থাৎ, সেদিন তাদেরকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের আগুনের দিকে।(সূরা ত্বূর ৫২:১৩ আয়াত) প্রকাশ থাকে যে, উক্ত শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে।[২] অর্থাৎ, তাদের পৌঁছনোর সাথে সাথেই জাহান্নামের সাতটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। যাতে শাস্তিদানে কোন প্রকার বিলম্ব না হয়।[৩] অর্থাৎ, যেভাবে দুনিয়াতে তর্ক-বিতর্ক, কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া-ঝাঁটি করত, সেখানে কিন্তু সব কিছু চোখের সামনে এসে যাওয়ার পর তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়া-ঝাঁটির কোন অবকাশ থাকবে না। ফলে স্বীকার করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।[৪] অর্থাৎ, আমরা নবীদেরকে মিথ্যাজ্ঞান এবং তাঁদের বিরোধিতা করেছি, সেই দুর্ভাগ্যের কারণে যার আমরা উপযুক্ত ছিলাম। আমরা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বাতিলকে গ্রহণ করেছিলাম। এই বিষয়টাকে সূরা মুলকের ৬৭:৮-১০ নং আয়াতে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
০%